বগিবিল সেতুতে প্রধানমন্ত্রী ছবি তোলায় খোঁচা রাহুলের, আমন্ত্রণ না পাওয়ায় আক্ষেপ দেবগৌড়ার

 ক্যামেরার সামনে প্রধানমন্ত্রীর পোজ দেওয়ার এই ছবিই এখন বিতর্কের কেন্দ্রে। 

Updated By: Dec 26, 2018, 11:51 PM IST
বগিবিল সেতুতে প্রধানমন্ত্রী ছবি তোলায় খোঁচা রাহুলের, আমন্ত্রণ না পাওয়ায় আক্ষেপ দেবগৌড়ার

নিজস্ব প্রতিবেদন: মেঘালয়ের খনিতে আটকে পড়ে হাঁসফাঁস করছেন শ্রমিকরা। আর তখন অসমের বগিবিল সেতু উদ্বোধন করে ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীকে আক্রমণ রাহুলের। ব্রিজ উদ্বোধনে উপেক্ষিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়াও। অথচ উনিশশো সাতানব্বই সালে ওই সেতু নির্মাণের জন্য একশো কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া। বিতর্কের কেন্দ্রে বগিবিল ব্রিজ।

একটি ব্রিজের উদ্বোধন। আর ক্যামেরার সামনে প্রধানমন্ত্রীর পোজ দেওয়ার এই ছবিই এখন বিতর্কের কেন্দ্রে। বিরোধীদের তুলোধোনা। কড়া ভাষায় মোদীকে আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। উঠে এসেছে মেঘালয়ের কয়লাখনিতে আটকে পড়া পনেরোজন শ্রমিকের প্রসঙ্গ। তা নিয়েই তোপ দাগেন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর টুইট, দুসপ্তাহ ধরে জলভর্তি খনিতে আটকে ১৫ জন শ্রমিক। তাঁরা খোলা বাতাসের জন্য লড়াই করে চলেছেন। আর সে সময় অসমের বগিবিল ব্রিজে ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাম্পও জোগাড় করে দিতে অস্বীকার করে তাঁর সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাহুলের আর্জি, দয়া করে ওই খনিকর্মীদের বাঁচান। শক্তিশালী পাম্পের অভাবে উদ্ধারকাজও সাময়িক বন্ধ। এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থলে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তাই অনুভব করেননি মেঘালয়ের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। তা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাহুল। 

বিজেপির বক্তব্য, ইউপিএ সরকার ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে পারেনি। সেটা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। সেই ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করছেন। বগিবিজ ব্রিজের প্রচারেও বিজেপি দাবি করেছে, সেতুটির ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত কাজ হয়েছিল। মাত্র চার বছরে বাকি কাজ সম্পন্ন করে নরেন্দ্র মোদী সরকার।          

এর পাশাপাশি বগিবিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়াও। ১৯৯৭ সালে ওই সেতু নির্মাণের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া। কিন্তু, উদ্বোধনে তাঁকে আমন্ত্রণ তো দূর অস্ত, দেবেগৌড়ার নামটুকুও উচ্চারণ করেননি মোদী। তাঁর আক্ষেপ, ''আমি আর কী করতে পারি? উদ্বোধনে আমায় আমন্ত্রণ না জানানো হলেও এনিয়ে ভাবিত নই। ওই এলাকার মানুষ আমার ভূমিকা মনে রাখবেন''।     

ব্রহ্মপুত্রের উপর তৈরি হওয়া এই সেতুর কাজ ২০০২ সালে শুরু হলেও শিলান্যাস হয়েছিল আরও ৫ বছর আগে। ২২ জানুয়ারি, ১৯৯৭। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়া। ২৫ ডিসেম্বর বাজপেয়ীর জন্মদিনে সেতুটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- বেকার ও গরিবদের অ্যাকাউন্টে মাসের শেষে টাকা, বাজেটেই বড় ঘোষণা!

 

.