আন্দোলনে রাস্তায় নামার ডাক বিজেপির, বিরোধীদের সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী
বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, কয়লা ব্লক বাতিল সহ স্বচ্ছ তদন্তের দাবিতে সংসদ চত্বরে বিরোধিতায় সরব বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবির। কয়লা দুর্নীতি ইস্যুতে রাস্তায় নামার হুমকিও দিয়েছে তাঁরা। শুক্রবার বিজেপি, জেডি(ইউ), শিরোমণি আকালি দল এবং শিবসেনার সাংসদরা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্ণায় বসেন।
বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, কয়লা ব্লক বাতিল সহ স্বচ্ছ তদন্তের দাবিতে সংসদ চত্বরে বিরোধিতায় সরব বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবির। কয়লা দুর্নীতি ইস্যুতে রাস্তায় নামার হুমকিও দিয়েছে তাঁরা। শুক্রবার বিজেপি, জেডি(ইউ), শিরোমণি আকালি দল এবং শিবসেনার সাংসদরা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্ণায় বসেন।
বিরোধীদের প্ল্যাকার্ড মুখরিত ছিল সরকার বিরোধী স্লোগানে। তাঁরা দাবি তোলেন, "কোলগেট ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে", দুর্নীতি মুক্ত ভারতের স্বার্থে তাঁরা রাস্তায় নামার কথাও তোলেন আজকের কর্মসূচি থেকে। এনডিএ সভাপতি লালকৃষ্ণ আডবাণী, লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ ও রাজ্যসভার বিরধী দলনেতা অরুণ জেটলি সহ জনতা দল ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে সরদ যাদব, আকালি দলের তরফে হরসিমরত কর ও শিব সেনার নেতা অনন্ত গীতা এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
পরে সাংবাদিকদের আডবাণী জানান, "বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে দুর্নীতি মুক্ত ভারতের স্বার্থে এনডিএ সাংসদরা তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন"। দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের জমানায় লাগামছাড়া দুর্নীতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সমালচনাও করেন তিনি। এই ইস্যুতে তাঁদের দেশব্যাপী আন্দোলনকে আরও সংঘবদ্ধ করার ডাক দেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা। একই সুর লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজের গলায়। কয়লা কেলেঙ্কারি ইস্যুতে শুধুমাত্র সংসদের গোটা অধিবেশন বানচাল করে ক্ষান্ত থাকতে রাজি নন তিনি। প্রয়োজনে তাঁরা রাস্তায় নেমে বিরোধ সংগঠিত করবে বলেও জানান সুষমা।
কয়লা দুর্নীতি ইস্যুতে বিজেপির ভূমিকার সমালোচনায় সরব হন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। দিনের পর দিন সংসদ অচল করে বিজেপি গণতন্ত্রের অবমাননা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় সংসদের নিয়মনীতি লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। এর পাশপাশি ক্যাগ রিপোর্টের ওপর সংসদে আলোচনার সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী।
কখনও টুজি কেলেঙ্কারি। কখনও লোকপাল বিল। গত কয়েকটি অধিবেশনে বারেবারেই উত্তাল হয়েছে সংসদের উভয় কক্ষ। অধিবেশনের মেয়াদ ফুরোলেও বিতর্ক থামেনি। বাদল অধিবেশনেও তার ব্যতিক্রম দেখতে পেলেন না দেশবাসী। কয়লা ব্লক বন্টনে দুর্নীতি সংক্রান্ত ক্যাগ রিপোর্টকে ঘিরে টানা দু`সপ্তাহ উত্তালই রইল সংসদ। শুক্রবার ছিল এবারের বাদল অধিবেশনের শেষদিন। ২০ দিনের অধিবেশনের ১৩ দিনই বিঘ্নিত রইল সংসদ। কয়লা ব্লক বন্টন ইস্যুতে তাঁর ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই বলে আগে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর বাদল অধিবেশনের শেষদিনে সংসদের বাইরে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ক্যাগের প্রতি তাঁর সরকারের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তাই ক্যাগ রিপোর্টের ওপর আলোচনাই একমাত্র কাম্য। দিনের পর দিন সংসদ অচল করে রাখার জন্য বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।