জেটলির দিনলিপি প্রকাশ করে মালিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত্ নাকচ করল বিজেপি

কংগ্রেস যে ‘কৌশল’ নিয়েই বিজেপিকে বিদ্ধ করুক না কেন, হাত গুটিয়ে বসে নেই অমিত শাহরা। কংগ্রেস নেতা পি এল পুনিয়ার  ২০১৬ সালে ১ মার্চের জেটলি-মালিয়ার বৈঠকের দাবিকে কার্যত নস্যাত্ করে বিজেপি জানায় এ দিন এমন কোনও সাক্ষাত্ই করেননি অরুণ জেটলি

Updated By: Sep 15, 2018, 03:00 PM IST
জেটলির দিনলিপি প্রকাশ করে মালিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত্ নাকচ করল বিজেপি
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজয় মালিয়ার ‘বিস্ফোরণ’কে নির্বাচনের আগে বড়সড় হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছে কংগ্রেস। প্রমাণ-সাক্ষ্য জোগাড়ে ব্যস্ত তারা। ইতিমধ্যে কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ পি এল পুনিয়াও জেটলি-মালিয়ার বৈঠক চাক্ষুষ করেছে বলে দাবি করেছেন। সংসদ চত্বরে একটি বেঞ্চে বসে নাকি ১৫ মিনিট ধরে  আলোচনা করছিলেন  অর্থমন্ত্রী এবং ঋণ খেলাপিতে অভিযুক্ত কিংফিশারের মালিক (সে সময় রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন)! তাঁদের এই সাক্ষাত্ একাশো শতাংশ সত্য বলে দাবি পুনিয়ার। প্রয়োজনে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখারও পরামর্শ তাঁর। এমনকি চ্যালেঞ্জের সুরে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি, মিথ্যে হলে পদত্যাগ করবেন এই কংগ্রেস নেতা।

আরও পড়ুন- মালিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কোনও শৈথিল্য দেখানো হয়নি, দাবি এসবিআই-এর

তবে, কংগ্রেস যে ‘কৌশল’ নিয়েই বিজেপিকে বিদ্ধ করুক না কেন, হাত গুটিয়ে বসে নেই অমিত শাহরা। কংগ্রেস নেতা পি এল পুনিয়ার  ২০১৬ সালে ১ মার্চের জেটলি-মালিয়ার বৈঠকের দাবিকে কার্যত নস্যাত্ করে বিজেপি জানায় এ দিন এমন কোনও সাক্ষাত্ই করেননি অরুণ জেটলি। অর্থমন্ত্রীর ওই দিনের ডায়েরির পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য প্রকাশ করে বিজেপি। বিজেপি সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে ১ মার্চ, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত বিজেপির সংসদীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন অর্থমন্ত্রী। এরপর সকাল ১০.৩০ মিনিটে সংসদ ভবনে পৌঁছন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কিছুক্ষণ বৈঠক করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী দু’জনে একসঙ্গে রওনা দেন রাজ্যসভায়। সেখানে সকাল ১১টা থেকে ১১.৪৫ মিনিট পর্যন্ত অধিবেশনে ছিলেন। ঠিক ১১.৪৭ মিনিটে রাজ্যসভা থেকে বেরিয়ে অরুণ জেটলি চলে যান বিজ্ঞান ভবনের একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে দুপুর ১.০৮ মিনিট থেকে ১.১৭ মিনিট পর্যন্ত বক্তৃতা রাখেন জেটলি। এর পর ২টো নাগাদ নর্থ ব্লকে অর্থমন্ত্রী নিজের ভবনে ফিরে আসেন। অরুণ জেটলির এই দিনলিপি প্রকাশ করে বিজেপি প্রমাণ করার চেষ্টা করে, এ দিন বিজয় মালিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত্ করেননি অর্থমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- মালিয়াকে দেশ ছেড়ে পালাতে সাহায্য করেছিল সিবিআই, জানতেন মোদী, অভিযোগ রাহুলের

তবে, অরুণ জেটলি বিবৃতি দিয়ে নিজেই স্বীকার করেছিলেন, বিজয় মালিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত্ হয়েছে তাঁর। যদিও পুনিয়ার দাবি মতো তিনি কোনও বেঞ্চে বসে আলোচনা করেননি কিংবা মালিয়ার সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছাটুকুও দেখাননি বলে জেটলি জানিয়েছেন।     গত ১২ সেপ্টেম্বর লন্ডনের বসে বিজয় মালিয়া দাবি করেছিলেন, ভারত ছাড়ার আগে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি সাক্ষাত্ করেছেন। ঋণের বিষয়ে রফা করতে জেটলির কাছে একাধিকবার আর্জি জানিয়েছেন বলে মালিয়া এ দিন দাবি করেন। মালিয়ার বিস্ফোরক মন্ত্যবের এক ঘণ্টার মধ্যে জেটলি লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানান, বিজয় মালিয়ার সঙ্গে কোনও আনুষ্ঠানিক সাক্ষাত হয়নি তাঁর। মালিয়া রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার সুবাদে অবৈধভাবে সুযোগ নিয়ে জেটলির সঙ্গে দেখা করেছেন। এমনকি কার্যত তাড়া করে জেটলির সঙ্গে আলোচনা করতে আসেন মালিয়া। জেটলির কক্ষে যাওয়ার পথে মালিয়ার দাবি শোনেন। এবং লিকার ব্যারনের ঋণ বিষয়ে অবগত থাকায় তাঁকে ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে এ দিন স্পষ্ট করেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।   

.