বিলকিস বানো মামলায় এবার অস্বস্তিতে গুজরাত সরকার! সব তথ্য তলব সুপ্রিম কোর্টের
দু’সপ্তাহের মধ্যে গুজরাত সরকারকে সমস্ত নথিপত্র জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তিন সপ্তাহ পরে ফের এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি অজয় রাস্তোগি এবং বি ভি নাগরথনার বেঞ্চ গুজরাত সরকারকে সময় বেঁধে দিলেন তথ্য জমা দেওয়ার জন্য।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: বিলকিস বানো গণধর্ষণের অভিযুক্ত ১১ জন দোষীদের মুক্তি দিয়েছে গুজরাত সরকার। এবার সেই প্রক্রিয়া সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য চাইল সুপ্রিম কোর্ট। দু’সপ্তাহের মধ্যে গুজরাত সরকারকে সমস্ত নথিপত্র জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তিন সপ্তাহ পরে ফের এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি অজয় রাস্তোগি এবং বি ভি নাগরথনার বেঞ্চ গুজরাত সরকারকে সময় বেঁধে দিলেন তথ্য জমা দেওয়ার জন্য।
সুপ্রিম কোর্টে সিপিআই(এম) সদস্য সুভাষিণী আলি, সাংবাদিক রেবতী লাউল এবং সামাজিক কর্মী ও অধ্যাপক রূপ রেখা বর্মার দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে গুজরাত সরকারকে নোটিস জারি করেছে। সেই আবেদনে বলা হয়েছিল ১১ জন দোষীকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ পুনরায় ফিরিয়ে নিতে এবং অবিলম্বে ওই ১১ জনকেই গ্রেফতার করতে। প্রসঙ্গত, বিলকিস বানো গণধর্ষণে দোষীদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছে দেশের নানা অংশের মানুষ।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গোধরা-কাণ্ডের পর গুজরাতে সাম্প্রদায়িক অশান্তি চলাকালীন ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর তিন বছরের মেয়েকে পাথরে আছড়ে মারে হামলাকারীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। তাঁর পরিবারের আরও কয়েক জন সদস্যকে হত্যা করা হয়। এই অপরাধকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ আখ্যা দিয়ে মুম্বইয়ের সিবিআই আদালতে কঠোর সাজার পক্ষে সওয়াল করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
১৫ বছর ধরে জেল খাটার পর গত ১৫ আগস্ট হঠাৎই গণধর্ষণকারীদের মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার। বিলকিস বানোর তরফে জানানো হয়, আগে থেকে তাঁরা এই ঘটনার কিছুই জানতেন না। অন্যদিকে, জেল থেকে বেরনোর পরে কার্যত বীরের মর্যাদায় বরণ করে নেওয়া হয় দোষীদের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অফিসে সংবর্ধনা দেওয়া থেকে শুরু করে মালা-মিষ্টি দিয়ে বরণ, কিছুই বাদ যায়নি।
আরও পড়ুন, OMG: লিফটে পোষ্য জার্মান শেফার্ড কামড়ে ছিঁড়ে দিল জোমাটো ডেলিভারি বয়ের গোপনাঙ্গ!