নয়া বিতর্ক : জনসংখ্যার ৬৮% হয়েও জম্মু-কাশ্মীরে কেন মুসলিমরা সংখ্যালঘু?
লঘু-গুরু বিতর্ক। জম্মু-কাশ্মীরের মুসলিমদের 'সংখ্যালঘু' তকমা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিমকোর্ট। আজ শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তোলে, ওই রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশই মুসলমান, তাহলে ওই রাজ্যে মুসলিমদের কি আর 'সংখ্যালঘু' বলা চলে? অঙ্কুর শর্মার দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি জদগীশ সিং কেহর, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কাউলের ডিভিশন বেঞ্চ আজ কেন্দ্রীয় সরকার ও জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: লঘু-গুরু বিতর্ক। জম্মু-কাশ্মীরের মুসলিমদের 'সংখ্যালঘু' তকমা নিয়ে প্রশ্ন উঠল সুপ্রিমকোর্টে। আজ শীর্ষ আদালতে প্রশ্ন তোলা হয়, ওই রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশই মুসলমান, তাহলে ওই রাজ্যে মুসলিমদের কি আর 'সংখ্যালঘু' বলা চলে? অঙ্কুর শর্মার দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি জদগীশ সিং কেহর, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কাউলের ডিভিশন বেঞ্চ আজ কেন্দ্রীয় সরকার ও জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে ধর্মীয় ও ভাষাগত দিক থেকে সংখ্যালঘুদের কল্যাণ সাধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত ১৫ দফা সুযোগ সুবিধার বিরোধিতা করে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেন অঙ্কুর শর্মা। তাঁর দাবি, ওই রাজ্যের জনসংখ্যার প্রেক্ষিতে বাস্তবে 'সংখ্যাগুরু' সম্প্রদায় হয়েও 'সংখ্যালঘু'দের জন্য নির্ধারিত সুযোগসুবিধা ভোগ করছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা। অঙ্কুর শর্মার আরও দাবি, জম্মু-কাশ্মীরে একটি রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হোক।
এদিকে, সুপ্রিমকোর্টে দায়ের হওয়া এই জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে জম্মু-কাশ্মীরের মেহবুবা মুফতি সরকার জানিয়েছে, "জম্মু-কাশ্মীরই একমাত্র রাজ্য নয় যেখানে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন (এনসিএম) দ্বারা ঘোষিত সংখ্যালঘুরা আসলে সংখ্যায় বেশি"। রাজ্য সরকারের মতে, মেঘালয়, মিজোরাম, অরুণাচলপ্রদেশ, নাগাল্যান্ড, পঞ্জাব এবং লাক্ষাদ্বীপ-এর ক্ষেত্রেও এনসিএম দ্বারা ঘোষিত সংখ্যালঘুরা আদতে সংখ্যা গরিষ্ঠ। (আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতি পদে শিবসেনার পছন্দ ভাগবত)