পুলওয়ামার জেরে বন্ধ হয়েছিল বিয়ে, দেড়মাস পর বরযাত্রী নিয়ে পাকিস্তান রওনা বরের

রাজস্থানের বারমেঢ়ের গিরাব গ্রাম। সেই গ্রামের বাসিন্দা মহেন্দ্র সিং। তাঁরই ৮ মার্চ বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু মেয়ের বাড়ি পাকিস্তানে।

Updated By: Apr 12, 2019, 07:19 PM IST
পুলওয়ামার জেরে বন্ধ হয়েছিল বিয়ে, দেড়মাস পর বরযাত্রী নিয়ে পাকিস্তান রওনা বরের

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিয়ের দিন নির্ধারিত হয়েছিল চলতি বছরের ৮ মার্চ। সারা হয়ে গিয়েছিল সমস্ত প্রস্তুতিও। কিন্তু তাও নির্ধারিত দিনে সম্ভব হয়নি বিয়ের অনুষ্ঠান করার। কারণ ছিল পুলওয়ামার জঙ্গিহানা। তার জেরেই স্থগিত হয়ে গিয়েছিল বিয়ে।

অবশেষে মাস দেড়েকের সেই অচলবস্থা কাটল। ফের ঠিক হয়েছে বিয়ের দিন। ফলে খুশি ফিরেছে বর ও কনের পরিবারে।

আরও পড়ুন: রাশিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী

রাজস্থানের বারমেঢ়ের গিরাব গ্রাম। সেই গ্রামের বাসিন্দা মহেন্দ্র সিং। তাঁরই ৮ মার্চ বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু মেয়ের বাড়ি পাকিস্তানে। তাই বিয়ে স্থগিত রাখতে বাধ্য হয় দুই পরিবার। কারণ, পুলওয়ামার জঙ্গিহানার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামার জঙ্গিহানা ঘটিয়েছিল পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। এর পর গোটা দেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। সেই মতো পাল্টা প্রত্যাঘাতও করে ভারত।

আরও পড়ুন: শান্তিতেই শেষ প্রথম দফার নির্বাচন, জানিয়ে দিল কমিশন

পাকিস্তানের বালাকোটে জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক করে ভারতীয় বায়ুসেনা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ওই জঙ্গিঘাঁটি। ২৬ ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে।

ফলে সেই পরিস্থিতিতে বিয়ে স্থগিত রাখা হয়েছিল। কিন্তু মাস দেড়েকে পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত। তাই দুই পরিবারের সম্মতিতে ফের ঠিক হয়েছে বিয়ের তারিখ। সেই মতো পাকিস্তানে বিয়ে করতে চললেন মহেন্দ্র সিং।

আরও পড়ুন: বিশ্বের উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেনে ভোট দিলেন সেনা জওয়ানরা

শুক্রবার তিনি রওনা দিলেন পাকিস্তানের উদ্দেশে। থর এক্সপ্রেসে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ১৫ জন বরযাত্রী। সেখানকার অমরকোট গ্রামের মেয়েকে বিয়ে করবেন তিনি। বিয়ের জন্য সেখানে তাঁকে থাকতে হবে একমাস। তার পর নববধূকে নিয়ে ফিরবেন ভারতে।

শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে যেতে পারায় খুশি মহেন্দ্রও। তিনি জানিয়েছেন, বিয়ে স্থগিত হয়ে যাওয়ায় তিনি বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তবে তাঁর কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় থাকা।

.