তহেলকা ঘুষ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত বঙ্গারু লক্ষ্মণ

এক দশক আগের তহেলকা কেলেঙ্কারির অভিঘাত নতুন করে রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি করল বিজেপি শিবিরে। ২০০১ সালের এই আলোড়ন তৈরি করা `স্টিং অপারেশন` কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হলেন তত্‍কালীন বিজেপি সভাপতি বঙ্গারু লক্ষ্মণ। শুক্রবার দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক কানোয়ালজিত্‍ আরোরা দুর্নীতি দমন আইনে দোষী সাব্যস্ত করেন অন্ধ্রপ্রদেশের দলিত নেতাকে।

Updated By: Apr 27, 2012, 09:23 PM IST

এক দশক আগের তহেলকা কেলেঙ্কারির অভিঘাত নতুন করে রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি করল বিজেপি শিবিরে। ২০০১ সালের এই আলোড়ন তৈরি করা `স্টিং অপারেশন` কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হলেন তত্‍কালীন বিজেপি সভাপতি বঙ্গারু লক্ষ্মণ। শুক্রবার দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক কানোয়ালজিত্‍ আরোরা দুর্নীতি দমন আইনে দোষী সাব্যস্ত করেন অন্ধ্রপ্রদেশের দলিত নেতাকে। রায় ঘোষণার পরই আদালত কক্ষে হাজির বঙ্গারুকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপর তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। দু`-এক দিনের মধ্যেই তাঁর সাজা ঘোষণার সম্ভাবনা। এদিন রায় ঘোষণার পর আদালত কক্ষেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বঙ্গারু লক্ষ্মণ।
২০০১ সালে এনডিএ সরকারের আমলে ব্রিটেনের `ওয়েস্ট এন্ড ইন্টারন্যাশনাল` নামে একটি সংস্থার এজেন্ট সেজে বঙ্গারু লক্ষ্মণের কাছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য হাতে বহনযোগ্য থার্মাল ইমেজার ও হিমাঙ্কের নীচে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের বরাত পাওয়ার আবেদন নিয়ে যান তহেলকা ডট কম-এর সাংবাদিকরা। বরাত পাওয়ার জন্য আগাম ঘুষ হিসেবে এক লাখ টাকা তত্‍কালীন বিজেপি সভাপতির হাতে টাকাও তুলে দেন তাঁরা। কথা হয়, বারাক ক্ষেপণাস্ত্রের `ডিল` নিয়েও। আর পুরো ঘটনাটাই গোপন ক্যামেরায় বন্দি হয়ে যায়।
বফর্স কাণ্ডের তদন্ত পুনরায় চালু করার দাবিতে সংসদে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিন থেকেই বিজেপির বিক্ষোভে অচল অধিবেশন। বিজেপির বিক্ষোভকে কটাক্ষ করে এদিন কংগ্রেসের মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি বলেন, "কাঁচের ঘরে বসে অন্যকে ঢিল ছোঁড়া উচিত নয়।" বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শাহনাহাজ হুসেন পাল্টা বলেন, "তহেলকা কাণ্ড সামনে আসতেই বঙ্গারু লক্ষ্মণকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল বিজেপি।"
২০০১ সালে ১৩ মার্চ এই `স্টিং অপারেশন`-এর সিডি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। এই ঘটনার জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তত্‍কালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজ। ঘটনার প্রতিবাদে রেলমন্ত্রী পদ ও এনডিএ জোট ছাড়েন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ২০০১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে লড়ে তৃণমূল। যদিও বিধানসভা ভোটে জোটের ভরাডুবির কিছুদিনের মধ্যেই ফের এনডিএ`তে ফিরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

.