জামিনের আবেদন খারিজ জুবেরের, ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা
শনিবার চার দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার পরে দিল্লি পুলিশ মহম্মদ জুবেরের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের দাবি জানায়। পুলিস অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলায় ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগও করেছে। এফআইআর-এ এই সংক্রান্ত ধারাও যুক্ত করা হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শনিবার অলত নিউজের সহ- প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেরের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে পাতিয়ালা হাইকোর্ট। তাঁকে ১৪ দিনের জুডিশিয়াল কাস্টোডিতে পাঠানো হয়েছে।
২০১৮ সালে জুবেরের করা একটি টুইটের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। অভিযোগ করা হয়েছে তাঁর এই টুইট হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে।
দিল্লি পুলিশের IFSO ইউনিট বলেছে যে অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ফ্যাক্ট-চেকার মহম্মদ জুবেরকে গ্রেফতার পরে তার সমর্থনে এগিয়ে আসা টুইটার হ্যান্ডেলগুলির মধ্যে "বেশিরভাগ" মধ্যপ্রাচ্যের দেশ এবং পাকিস্তানের।
মহম্মদ জুবেরের সমর্থনে বেশ কয়েকটি পোস্ট এবং হ্যাশট্যাগ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছে। দিল্লি পুলিসর বিশ্লেষণের পরে জানিয়েছে, এই টুইটগুলির বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ অথবা পাকিস্তানে থাকা ব্যবহারকারীরা করেছেন।
পুলিস আরও জানিয়েছে রেজারপে পেমেন্ট গেটওয়ে থেকে পাওয়া উত্তর থেকে জানা গিয়েছে ভারতের বাইরের ফোন নম্বর অথবা আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে হওয়া বিভিন্ন লেনদেন মূলত ব্যাংকক, মানামা, নর্থ হল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভিক্টোরিয়া, নিউ ইয়র্ক, ইংল্যান্ড, রিয়াধ সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে করা হয়েছে।
পুলিসের বক্তব্য অনুযায়ী অন্যান্য জায়গাগুলির মধ্যে রয়েছে বালাদিয়াত আদ দাওয়াহ, শারজাহ, স্টকহোম, আইচি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্য, পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলি, আবুধাবি, ওয়াশিংটন ডিসি, কানসাস, নিউ জার্সি, অন্টারিও, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, লোয়ার স্যাক্সনি, বার্ন, দুবাই, উসিমা এবং স্কটল্যান্ড।
অল্ট নিউজের মূল কম্পানি প্রাভদা মিডিয়া মোট ২,৩১,৯৩৩ টাকা পেয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
আরও পড়ুন: বিজেপি-তে অমরিন্দর! হতে পারেন উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী
শনিবার চার দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার পরে দিল্লি পুলিশ মহম্মদ জুবেরের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের দাবি জানায়। পুলিস অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলায় ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগও করেছে। এফআইআর-এ এই সংক্রান্ত ধারাও যুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ তিনটি নতুন ধারা যুক্ত করেছে। সেগুলি হল ২০১ (প্রমাণ নষ্ট করার জন্য ফর্ম্যাট করা ফোন এবং মুছে ফেলা টুইট), IPC-এর ১২০(বি) (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) এবং FCRA (বিদেশী অবদান (নিয়ন্ত্রণ) আইন) এর ৩৫ নম্বর ধারা।
মহম্মদ জুবেরের আইনজীবী তাঁর হয়ে জামিন আবেদন করেন। ইতিমধ্যে, জুবেরের একটি আপত্তিকর টুইট সম্পর্কিত মামলায় অতুল শ্রীবাস্তবকে দিল্লি পুলিসের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে।