রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর আগে অযোধ্যায় ত্রেতা যুগের আবহ সৃষ্টি! বাড়ি-ঘর হয়ে যাচ্ছে হলুদ রঙের
টেধি বাজার থেকে নয়া ঘাট পর্যন্ত রাস্তার ধারে যত বাড়ি রয়েছে সব কটি হলুদ রঙের করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- ত্রেতা যুগ ফিরল এই ঘোর কলিতে! হ্যাঁ, ব্যাপারটা সেরকমই। সরকার চাইলে কী না পারে! এই তো অযোধ্যায় ফিরিয়ে আনা হবে ত্রেতা যুগ। কে বলে যে যুগ যায় তা আর ফেরে না! সরকার চাইলেই ফেরে। ঘোর কলিতে ত্রেতা যুগের আবহ সৃষ্টি করবে সরকার। বহু প্রতিক্ষীত রাম মন্দিরের ভূমি পূজো বলে কথা! অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ বহু ভিআইপি-র আগমন হবে। এমন সময় একটু বিশেষ কিছু আয়োজন না করলে হয় নাকি! তাই ৫ অগাস্ট ভূমি পুজোর আগেই সাজ সাজ রব অযোধ্যায়। রামচন্দ্রের সময়কার ত্রেতা যুগ ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় খামতি রাখছে না প্রশাসন।
টেধি বাজার থেকে নয়া ঘাট পর্যন্ত রাস্তার ধারে যত বাড়ি রয়েছে সব কটি হলুদ রঙের করা হয়েছে। এই রাস্তা ধরেই ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর কনভয় যাবে। ভূমি পুজোর মাধ্যমে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে। তাই ওই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে চাইছে যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। অযোধ্যার মেয়র ঋশিকেশ উপাধ্যায় জানিয়েছেন, ত্রেতা যুগের আবহ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই বাড়িঘর সব হলুদ রঙের করা হয়েছে। ৩ থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত গোটা অযোধ্যায় এক লাখ মাচির প্রদীপ জ্বালানো হবে। যে যুগে রামচন্দ্র অযোধ্যায় ছিলেন সেই সময়কার বাতাবরণ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন- পাঁচ দিন আগেই রামমন্দিরের করোনা আক্রান্ত পুরোহিতের পাশে ছিলেন যোগী আদিত্যনাথ
জানা গিয়েছে, তিন হাজার সাউন্ড সিস্টেমে রাম ধুন চালানো হবে ওই কটা দিন। যাতে সব দিক থেকেই পরিবেশে আধ্যাত্মিক ভাব বজায় থাকে। ওই একই সাউন্ড সিস্টেমে আবার সাধারণ মানুষের জন্য জরুরি ঘোষণাও করা হবে। কিশোরী লাল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, ''ভালই লাগছে। আমার বাড়ি হলুদ রঙ করে দিল সরকার। না হলে এই পরিস্থিতিতে আমার বাড়ি রঙ করার টাকা ছিল না। গোটা এলাকা দেখলে এখন চেনাই যাচ্ছে না। আমার মতো এখানকার আরো অনেকে বাড়ি রঙ হওয়ায় দারুন খুশি।''