নাগরিকপঞ্জির খসড়া ত্রুটিপূর্ণ নয়, নিশ্চিত হতে নমুনা সমীক্ষার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

নাগরিকপঞ্জির খসড়া থেকে বাদ পড়া ১০ শতাংশ মানুষের নথি পুনরায় খতিয়ে দেখার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।

Updated By: Aug 28, 2018, 05:05 PM IST
নাগরিকপঞ্জির খসড়া ত্রুটিপূর্ণ নয়, নিশ্চিত হতে নমুনা সমীক্ষার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমের নাগরিকপঞ্জিতে যাতে কোনও ভারতীয় নাগরিক বাদ না পড়েন, তা সুনিশ্চিত করতে চাইছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, নাগরিকপঞ্জির খসড়া থেকে বাদ পড়া ১০ শতাংশ ব্যক্তির নথি পুনরায় পরীক্ষা করে দেখতে হবে। জেলা ভিত্তিক নথি খতিয়ে দেখবে নিরপেক্ষ সংস্থা। নাগরিকপঞ্জি তৈরিতে যে গলদ নেই, তা এই নমুনা সর্বেক্ষণের মাধ্যমে জানতে চাইছেন বিচারপতিরা।     

নাগরিকপঞ্জির খসড়া থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিদের নতুন আইনি নথি পেশ করার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই প্রস্তাব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এনআরসি-র সহ-সংযোজক প্রতীক হাজেলার কাছে রিপোর্ট চেয়েছে আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছে, এনআরসি-র খসড়ায় অন্তর্ভূক্তির জন্য নতুন করে কেন অতিরিক্ত নথি জমা দিতে চাইছেন আবেদনকারীরা।

প্রায় ৩.২৯ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে চূড়ান্ত খসড়ায় ঠাঁই পেয়েছেন ২.৮৯ কোটি। গতমাসে নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে অসম সরকার। ওই খসড়ায় নাম নেই প্রায় ৪০ লক্ষ বসবাসকারীর। বিরোধীদের দাবি, নাগরিকপঞ্জির মাধ্যমে মুসলিমদের অসমের বাইরে খেদাতে চাইছে বিজেপি সরকার। নাগরিকপঞ্জির প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

মমতার নির্দেশেই অসমের শিলচরে যায় তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। দলে ছিলেন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, রত্না দে নাগ, মমতা ঠাকুর, নাদিমুল হক ও অর্পিতা ঘোষ এবং বিধায়ক মহুয়া মৈত্র, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে তাঁদের শিলচর বিমানবন্দরের বাইরে পা ফেলতে দেয়নি অসম পুলিস। তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। পাল্টা অসম পুলিস দাবি করে, তাঁদের দুজন মহিলা কনস্টেবল ও এক পুলিস কর্মীকে শারীরিক হেনস্থা করেন তৃণমূলের বিধায়ক মহুয়া মৈত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ''সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন আমাদের প্রতিনিধিরা। বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে ও সত্য চাপা দিতেই আজ তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে বাধা দেওয়া হয়েছে। বিজেপি সরকারের বলপ্রয়োগের ধরণ দেখে মনে হচ্ছে যেন দেশে সুপার ইমারজেন্সি চলছে।''

তৃণমূল নাগরিকপঞ্জি নিয়ে সোচ্চার হলেও দূরত্ব বজায় রেখেছে কংগ্রেস। দলের তরফে জানানো হয়েছে, নাগরিকপঞ্জি নিয়ে তাদের আপত্তি নেই। তবে চূড়ান্ত খসড়া থেকে বাদ পড়েছেন বৈধ নাগরিকরা।          

আরও পড়ুন- রাহুলের কাছে আরএসএসের আমন্ত্রণপত্র আসেনি, দাবি কংগ্রেসের

.