Assam BJP Leader Killed: শরীরে একাধিক ক্ষত, জাতীয় সড়কের কাছে মিলল বিজেপি নেত্রীর দেহ
Assam BJP Leader Killed: দলের নেত্রীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি ভবেশ কলিতা। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে। অসনমের একাধিক মন্ত্রী এই ঘটনার জোরাল তদন্তের দাবি করেছেন। পুলিসের সন্দেহ একেবারে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে জোনালিকে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গোয়ালপাড়ায় জাতীয় সড়কের ধারে মিলল অসমের বিশিষ্ট বিজেপি নেত্রীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। জোনালি নাথ নামে অসমের ওই বিশিষ্ট বিজেপি নেত্রী দেহ মেলে রবিবার রাতে। ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন। গোয়ালপাড়া জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জোনালি।
আরও পড়ুন-বামেদের প্রার্থী তালিকায় রয়েছে নাম, শশী বললেন আমি তো তৃণমূল!
প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে খুন করে রাস্তার ধারে ফেলে দেওয়া হয়েছে জোনালিকে। গোয়ালপাড়ার কৃষ্ণাইয়ে গ্রামবাসীরা তাঁর দেহ উদ্ধার করেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা পুলিসে খবর দেন। প্রত্যাদর্শীরা জানিয়েছেন জোনালির দেহের একাধিক জায়গায় গভীর ক্ষত রয়েছে। মনে করা হচ্ছে নির্যাতন করেই খুন করা হয়েছে বিজেপি নেত্রীকে।
Deeply saddened by the sudden and tragic passing of Smt. Jonali Nath, @BJP4Assam Goalpara District secretary. It is a great loss for all of us.
A thorough investigation into the incident will be done to ensure justice is served. We are committed to uncovering the truth behind… pic.twitter.com/PQnHCQveD6
— Ashok Singhal (@TheAshokSinghal) June 12, 2023
মৃতদেহের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিস। মৃতদেহ তুলে তাঁরা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। গোয়ালপাড়া মাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা জোনালি নাথ। সন্ধে থেকেই তাকে ফোনে পাচ্ছিলেন না তাঁর স্বামী। তিনি ফোন করে দেখেন জোনালির ফোন সুইচড অফ দেখাচ্ছে। তরপরেই তিনি খোঁজখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু কোনও হদিস করতে পারেননি।
দলের নেত্রীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি ভবেশ কলিতা। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে। অসনমের একাধিক মন্ত্রী এই ঘটনার জোরাল তদন্তের দাবি করেছেন। পুলিসের সন্দেহ একেবারে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে জোনালিকে। পুলিস সূত্রে খবর রবিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে ইসলামপুরের উদ্দেশ্য় রওনা দেন জোনালি। সন্ধে সাতটা নাগাদ তাঁকে ফোন করেন তাঁর স্বামী। কিন্তু তার ফোন বন্ধ ছিল। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিসকে জানানো হয়।
দলের নেতা ও বিধায়ক হেমাঙ্গ ঠাকুরিয়া সংবাদমাধ্যমে বলেন, পুলিসকে অনুরোধ করব খুব গুরুত্ব দিয়ে এই মৃত্যুর তদন্ত করুন। এর মধ্যে যদি কোনও রাজনীতি থাকে তাহলে তাও খতিয়ে দেখা হোক। অত্ন্ত সক্রিয় কার্যকর্তা ছিলেন জোনালি। তার সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা থাকতে পারে। পোস্ট মর্টমের পরই মৃত্যুর কারণ জানা য়াবে। এটি একেবারেই খুনের ঘটনা। খুনিকে পুলিসের খুঁজে বের করা উচিত।