আশারাম বাপুর জামিন খারিজ হওয়ায় আশাহত ভক্তদের `সংকীর্তণ যাত্রা`
সোমবার আশারাম বাপুর জামিন খারিজ করল গান্ধীনগরের দায়রা আদালত। তারপর থেকে শুরু আশারাম বাপুর ভক্তগণের জেহাদ ঘোষণা। আশারাম বাপুকে ছাড়ার দাবীতে তাঁর ভক্তরা শুরু করল `সংকীর্তণ যাত্রা`। সোশাল মিডিয়াতেও ঝড় তোলেন অভিযুক্ত আশারাম বাপুর ভক্তরা।
সোমবার আশারাম বাপুর জামিন খারিজ করল গান্ধীনগরের দায়রা আদালত। তারপর থেকে শুরু আশারাম বাপুর ভক্তগণের জেহাদ ঘোষণা। আশারাম বাপুকে ছাড়ার দাবীতে তাঁর ভক্তরা শুরু করল `সংকীর্তণ যাত্রা`। সোশাল মিডিয়াতেও ঝড় তোলেন অভিযুক্ত আশারাম বাপুর ভক্তরা।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানী করার অভিযোগে `গডম্যান`কে গ্রেফতার করে পুলিস। রাজস্থানের যোধপুরে নিজের আশ্রমে এক নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তারপর আশারাম বাপুকে জেরার জন্য হাজিরা দেওয়ার সময়সীমা বেধে দিয়েছিল পুলিস।
স্বঘোষিত `গডম্যান` আসারাম বাপুর এ নিয়ে ৩ বার জামিন খারিজ হল। বিচারপতি জিকে উপাধ্যায় জানান এমন গুরুতর মামলায় তিনি কোনওভাবেই জামিন পেতে পারেন না। আসারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে সুরাট আদালতে।
ধর্মগুরু আসারাম বাপু অতীতেও বহু বিতর্কে জড়িয়েছেন। দিল্লি ধর্ষণকাণ্ডে ধর্ষিতা মেয়েটিকেও সমান দোষী মন্তব্য করে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন বাপু। গত বছর মার্চে যখন চার দশকের মধ্যে ভয়াবহতম খরার সম্মুখীন হয় মহারাষ্ট্র, তখন ভক্তদের উপর নকল বৃষ্টির ছোঁয়া দেওয়ার জন্য কয়েক গ্যালন জল নষ্ট করেন তিনি।
২০০৮-এ আসারামের আশ্রমের কাছে সবরমতীর তীরে দীপেশ ভাগহেলা ও অভিষেক ভাগহেলা নামের দুই কিশোরের গলা পচা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় আসারাম ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে সন্দেহ ঘনীভূত হয় সাধারণ মানুষের।