৫৬ বছর পর মোদীর জমানায় ক্ষতিপূরণ পেলেন অরুণাচলের জমিদাতারা
৩৭.৭৩ কোটি টাকার দেওয়া হয়েছে গ্রামবাসীদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ৫৬ বছর কেটে গিয়েছে। অথচ তাঁরা বঞ্চিতই থেকে গিয়েছিলেন। অবশেষে সেই বঞ্চনার অবসান হল। অরুণাচলপ্রদেশের গ্রামবাসীদের ৩৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিল সেনাবাহিনী।
ইন্দো-চিন যুদ্ধের পর সেনাছাউনি ও বাঙ্কার বানাতে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জমি নিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেই জমির দামই এবার মেটাল ভারত সরকার। অরুণাচলপ্রদেশের বোমডিলায় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু ও অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খাণ্ডু। পশ্চিম খেমাং জেলার গ্রামবাসীদের হাতে চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে কিরেন রিজিজু বলেন, ''৩৭.৭৩ কোটি টাকার দেওয়া হয়েছে গ্রামবাসীদের। এই টাকা তাঁরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেবেন''।
প্রেম দর্জি খ্রিমি নামে এক গ্রামবাসী একাই পেয়েছেন ৬.৩১ কোটি, পুনসো খাওয়া পেয়েছেন ৬.২১ কোটি এবং ৫.৯৮ কোটি পেয়েছেন খাণ্ডু গ্লো।
১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের পর সীমান্তবর্তী অরুণাচলে জমির প্রয়োজন ছিল সেনার। বাঙ্কার, বারাক, ছাউনি ও সেতু বানাতে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু এক টাকাও দেওয়া হয়নি জমিদাতাদের। অরুণাচলেরই বাসিন্দা কিরেন রিজিজু এনিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রকে তদ্বির শুরু করেন। এরপরই ক্ষতিপূরণ পান জমিদাতারা।
কিরেন রিজিজুর কথায়, ''জাতীয় স্বার্থে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু ষাটের দশক থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাই ভাবেনি কোনও সরকার। গ্রামবাসীদের ক্ষতিপূরণের অনুমোদন দেওয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে ধন্যবাদ''।
২০১৭ সালের পশ্চিম কেমেং জেলায় এপ্রিলে ১৫২টি পরিবারকে ৫৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল গ্রামবাসীদের। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে তাওয়াং জেলার জমিদাতাদের দেওয়া হয়েছে ৪০.৮০ কোটি টাকা।
এখনও তাওয়ারং, পশ্চিম কেমেং, আপার সুবানসিরি, দিবাং উপত্যকা ও পশ্চিম সিয়াংয়ের জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি ঝুলে রয়েছে।
আরও পড়ুন- সবরীমালা মন্দিরে জোর করে ঢোকার চেষ্টা, সমাজকর্মী রেহানা ফাতিমাকে ইসলাম থেকে বিতাড়ন