রাফাল নিয়ে সংসদে রাহুলকে স্টাম্প আউট করলেন জেটলি
'জেমস বন্ডের ছবির তত্ত্ব অনুসারে, কোনও ঘটনা একবার ঘটলে তাকে দুর্ঘটনা বলে ধরা যেতে পারে। একই ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটলে তাকে কাকতালীয় আখ্যা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তৃতীয় বার একই ঘটনা জানবে তার পিছনে কোনও না কোনও ষড়যন্ত্র আছেই।'
নিজস্ব প্রতিবেদন: সংসদে রাফাল নিয়ে আলোচনায় রাহুল গান্ধীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এদিন আক্রমণের ঝাঁঝ চরমে তুলে রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে জেটলি বলেন, উনি মিথ্যে ছাড়া সত্যি বলেন না। এদিন জেটলির ভাষণ চলাকালে সংসদে তুমুল হট্টগোল শুরু করেন বিরোধীরা। স্পিকারের চেয়ারের সমানে গিয়ে কাগজের বিমান উড়িয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন বিরোধী দলগুলির সাংসদরা। সঙ্গে চলতে থাকে তীব্র হট্টগোল। স্পিকার তাঁদের থামতে বললেও কর্ণপাত করেননি তাঁরা। এর পর বেলা ৩.৩০ মিনিট পর্যন্ত মুলতুবি ঘোষণা করেন স্পিকার।
এদিন জেটলি বলেন, 'বোফর্স কেলেঙ্কারিতে অজ্ঞাতপরিচয় 'Q'-কে বাঁচাতে নানা চেষ্টা হয়েছিল। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলাতেও একটি ট্রাস্টের মালিকাধীন সংস্থাকে অবৈধভাবে ব্যক্তি মালিকানায় আনা হয়েছে। সেজন্য দেশের সব থেকে প্রভাবশালী পরিবারের সদস্যদের জামিন নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে। অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড মামলাতেও গ্রেফতার হওয়া দালাল জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে মিসেস গান্ধী ও তাঁর ছেলের যোগাযোগ হয়েছে।' অরুণ জেটলির কটাক্ষ, আসলে দেশের থেকে ব্যক্তিস্বার্থ প্রাধান্য পায় কংগ্রেসে। তাই বারবার সেনাবাহিনীর দাবি উপেক্ষা করে নিজেদের পকেট ভরানোর চেষ্টা চালিয়েছে তারা।'
বিফলে গেল রাফালের অডিয়ো বার্তা! সংসদে সত্যতা প্রমাণে ব্যর্থ রাহুল
রাহুলকে কটাক্ষ করে জেটলি বলেন, 'জেমস বন্ডের ছবির তত্ত্ব অনুসারে, কোনও ঘটনা একবার ঘটলে তাকে দুর্ঘটনা বলে ধরা যেতে পারে। একই ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটলে তাকে কাকতালীয় আখ্যা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তৃতীয় বার একই ঘটনা জানবে তার পিছনে কোনও না কোনও ষড়যন্ত্র আছেই।'
Arun Jaitley in Lok Sabha: If the fingers point at you in AugustaWestland, National Herald and Bofors, then it is a bit too much. Today, they have the audacity to raise an allegation against us. #Rafale pic.twitter.com/7APxYZSiwb
— ANI (@ANI) January 2, 2019
এরই মধ্যে 'গান্ধী পরিবার চোর হ্যায়' স্লোগান উঠতে থাকে ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে। জেটলি বলেন, যে কংগ্রেসকে একসময় মহান নেতারা চালাতেন সেই দল এখন এমন এক ভদ্রলোকের হাতে পড়েছে যার জঙ্গিবিমানের বৈশিষ্ট সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই।