জেটলি-মালিয়া বৈঠকের সাক্ষী কংগ্রেস নেতা, বিস্ফোরক দাবি রাহুলের

মিথ্যে বলছেন অরুণ জেটলি, সাংবাদিক সম্মেলন করে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ রাহুলের

Updated By: Sep 13, 2018, 02:57 PM IST
জেটলি-মালিয়া বৈঠকের সাক্ষী কংগ্রেস নেতা, বিস্ফোরক দাবি রাহুলের

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজয় মালিয়া নিয়ে বয়ান দিয়েও সামাল দিতে পারলেন না অরুণ জেটলি। দেশ ছেড়ে যে তিনি চলে যাবেন তা বিজয় মালিয়া জেটলিকে নিজেই জানিয়েছিলেন। এমনই দাবি করেছিলেন মালিয়া। কিন্তু তিনি ব্যাঙ্কের সঙ্গে ঋণখেলাপি নিয়ে কথা বলতে চান বলেও জানিয়েছিলেন।

মালিয়ার ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অরুণ জেটলি জানিয়ে দেন তিনি নাকি মালিয়াকে বলেন ঋণ নিয়ে কথা তাঁকে ব্যাঙ্কের সঙ্গেই বলতে হবে। এনিয়ে মালিয়ার সঙ্গে কোনও বৈঠক হয়নি। জেটলির সেকথা উড়িয়ে দিয়ে বোমা ফাটালেন কংগ্রেস সভাপতি।

আরও পড়ুন-সচিনের গায়ে কাদা ছুঁড়লেন দক্ষিণী অভিনেত্রী শ্রী রেড্ডি

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে রাহুল গান্ধী চাঁচাছোলা ভাষায় রাহুল বলেন, ’মিথ্যে বলছেন অরুণ জেটলি। বিজয় মালিয়া দেশ ছাড়ার আগে সংসদে অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের সাক্ষী রয়েছেন কংগ্রেস নেতা পি এল পুনিয়া। অরুণ জেটলিকে এখন দেশবাসীকে জানাতে হবে তাঁর সঙ্গে কেন একজন ক্রিমিন্যালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। এরকম একজনকে দেশ থেকে পালাতে কেন জেটলি সাহায্য করলেন তা জানাতে হবে।‘

পুনিয়াকে সাক্ষী হিসেবে খাড়া করে তাঁকেই মাইক দিয়ে দেন রাহুল। পুনিয়া বলেন, ২০১৬ সালের মার্চে সংসদের সেন্ট্রাল হলে তিনি মালিয়ার সঙ্গে জেটলির সঙ্গে কথা বলতে দেখেন। এরপরই ৯০০০ কোটি টাকা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দেশ ছাড়েন মালিয়া। পুনিয়ার কথায়, ‘সে সময় আমি সংসদের সেন্ট্রাল হলে ছিলাম। দেখলাম এক কোণে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন মালিয়া ও জেটলি। মিনিট ৫-৭ কথা হওয়ার পর দুজনে বেঞ্চে বসে কথা বলতে শুরু করেন। বেশ কিছুদিন পরে সেদিনই সংসদে আসেন মালিয়া। ওই কথাবার্তার পর ৩ মার্চ দেশ ছাড়েন মালিয়া।‘

আরও পড়ুন-অভিজাত ব্যবসায়ী পরিবারে ভয়ঙ্কর ঘটনা, আত্মঘাতী তিন সদস্য

উল্লেখ্য, মালিয়ার সঙ্গে বৈঠকের অভিযোগ ওঠার পরই অরুণ জেটলি জানিয়ে দেন দেশ ছাড়ার আগে তিনি মালিয়াকে কখনও কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেননি। জেটলি বলেন, ‘সাংসদ হওয়ার সুযোগ নিয়েছিলেন মালিয়া। সংসদ থেকে বেরিয়ে আসার সময়ে মালিয়া দৌড়ে এসে আমাকে ধরেন। বলেন, ব্যাঙ্কের সঙ্গে একটা বোঝাপড়া করতে চাই। ওকে সাফ জানিয়ে দিই এনিয়ে কোনও কথা বলব না। যা বলার তা ব্যাঙ্কের সঙ্গেই বলুন।’

.