অসমে জঙ্গি বিরোধী সেনার অপরেশন অল আউট শুরু, এরাজ্যে বাড়ছে শরণার্থীর সংখ্যা
অসমে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অপারেশন অল আউট শুরু করল সেনাবাহিনী। অভিযান জোরদার করতে আজ সেনা প্রধানের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ইতিমধ্যেই অরুণাচল সীমানায় শুরু হয়েছে সেনা অভিযান। এদিকে এনএফবি জঙ্গিদের হত্যাকাণ্ডের জেরে শুক্রবারও নামনি অসমের বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়ায়।
গুয়াহাটি: অসমে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অপারেশন অল আউট শুরু করল সেনাবাহিনী। অভিযান জোরদার করতে আজ সেনা প্রধানের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ইতিমধ্যেই অরুণাচল সীমানায় শুরু হয়েছে সেনা অভিযান। এদিকে এনএফবি জঙ্গিদের হত্যাকাণ্ডের জেরে শুক্রবারও নামনি অসমের বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়ায়।
জঙ্গিদের নারকীয় হত্যালীলার পরই জ্বলে উঠেছিল অসম।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে জঙ্গিদের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।বুঝিয়ে দিয়েছিলেন একমাত্র পথ সম্মুখ সমর। দিল্লি ফিরেই শুরু হয়ে যায় সেই লড়াইয়ের তোড়জোর।
কিভাবে জঙ্গি দমন অভিযান আরও জোরদার করা যায় তা নিয়ে শুক্রবার সেনা প্রধান দলবীর সিং সুহাগের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বোড়ো জঙ্গিদের সংবিজিত্ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান অপারেশন অল আউট ততক্ষণে শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তর অসমে। অরুণাচল সীমানার শোনিতপুরে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিসের সঙ্গেই একযোগে অভিযানে নেমেছে প্রায় ৯ হাজার সেনা জওয়ান।
সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে চিরং জেলাতেও। সেখানকার ফৈচানাবাজারে সেনাবাহিনীর অপর গ্রেনেড ছোঁড়ে এনডিএফবি জঙ্গিরা। বিজলির পানবাজারেও জঙ্গিদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গুলির লড়াই চলে।
জঙ্গি দমনে সেনা অভিযান সত্ত্বেও হিংসার আঁচ কমেনি অসমে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামনি অসমের বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ করে সেনা বাহিনী।
অনেক জায়গায় কারফিউ উপেক্ষা করে পথে নামেন মানুষ। কয়েকটি জায়গায় ফের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গোসাইগাঁওয়ের অলকাঝোড়ায় একটি অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। গোসাইগাঁওয়ের কাঁঠাল গুড়িতে হিংসায় তিরবিদ্ধ হন এক জন। গোষ্ঠী হিংসার জেরেই নামনি অসমের বিভিন্ন এলাকায় শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ।
অশান্ত অসম পরিস্থিতির জেরে এরাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে শরণার্থীদের ভিড়। শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে আজ নিজে আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে শরণার্থীদের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। সঙ্কোশ নদী পেরিয়ে নৌকোয় তাঁরা এপার বাংলায় আসছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের দেখাশোনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আজ সকালে আশ্রয় শিবিরগুলিতে চিড়ে-গুড় সহ খাবারদাবার বিলি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা বামফ্রন্টের তরফে এক প্রতিনিধিদল শিবির পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা কথা বলেন শরণার্থীদের সঙ্গে। পরিদর্শনে যেতে পারে জেলা তৃণমূলের প্রতিনিধিদলও। শরণার্থী শিবিরগুলির নিরাপত্তার জন্য RAF মোতায়েন করা হয়েছে।