সরকারের বিরুদ্ধে সেনাপ্রধানের আদালতে যাওয়া ঠিক নয় : কেন্দ্র
সেনাপ্রধানের বয়স বিতর্কে অবশেষে মুখ খুলল কেন্দ্র। সেনাপ্রধানের বয়স বিতর্কে অবশেষে মুখ খুলল কেন্দ্র। বয়স বিতর্ক নিরসনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ভিকে সিং। বুধবার এবিষয়ে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, সরকারের বিরুদ্ধে সেনাপ্রধানের আদালতে যাওয়া ঠিক নয়।
সেনাপ্রধানের বয়স বিতর্কে অবশেষে মুখ খুলল কেন্দ্র। বয়স বিতর্ক নিরসনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ভিকে সিং। বুধবার এবিষয়ে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, সরকারের বিরুদ্ধে সেনাপ্রধানের আদালতে যাওয়া ঠিক নয়। এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী পাল্লাম রাজু বলেন, `সরকারের বিরুদ্ধে সেনাপ্রধানের আদালতের দ্বারস্থ হওয়া সরকারের পক্ষেও যেমন ভালো নয়, সেনার পক্ষেও বিষয়টা ঠিক নয়। বিষয়টি একটি খারাপ নজির সৃষ্টি করেছে।` বিষয়টিকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং এটি নিয়ে জনসমক্ষে বিতর্ক করা ঠিক নয় বলেও জানান রাজু।
সোমবার নিজের জন্মতারিখ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন জেনারেল সিং। সেই পিটিশনের জবাবে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে কেন্দ্র। অর্থাত্, সরকারকে না জানিয়ে এ বিষয়ে কোনও রায় দিতে পারবে না শীর্ষ আদালত।
পাশাপাশি, আদালতের বাইরে প্রশাসনিকস্তরেও সেনাপ্রধানের মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। তাঁকে অপসারণের কথা এখনই ভাবা না হলেও, তাঁর পর সেনাপ্রধান হতে পারেন এমন অফিসারদের তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রে খবর। সেই তালিকা নিয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনি। জরুরি তলব করে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ডেকে পাঠানো হয় প্রতিরক্ষা সচিবকে শশীকান্ত শর্মাকে। এদিন বিকেলে প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করেন জেনারেল ভি কে সিং। বয়স বিতর্ক এবং সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়েরের ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে।
সরকারি রেকর্ডে জেনারেল ভি কে সিংয়ের বয়স সংক্রান্ত দু`রকম তথ্য নথিভুক্ত রয়েছে। তার জন্য দায়ী সেনাপ্রধান স্বয়ং। তাঁর ম্যাট্রিকুলেশন সার্টিফিকেটে জন্ম তারিখ হিসেবে ১৯৫১ সালের ১০ মে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী কালে ইউপিএসসি`র প্রবেশিকা পরীক্ষায় এবং সেনাবাহিনীর পার্সোনেল বিভাগে তিনি নিজের জন্ম তারিখ হিসেবে ১৯৫০ সালের ১০ মে তারিখের উল্লেখ করেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ইউপিএসসি এবং পার্সোনেল বিভাগে দেওয়া তথ্যটিকেই প্রামাণ্য বলে মনে করছে। এই হিসেবে চলতি বছরের ৩১ মে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা। কিন্তু অবসর গ্রহণে নারাজ জেনারেল সিংয়ের দাবি, ম্যাট্রিকুলেশনের শংসাপত্রে তাঁর প্রকৃত বয়স উল্লিখিত হয়েছে। এই হিসেবে তাঁর অবসর গ্রহণের দিন, ২০১৩-র ৩১ মে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে সেনাপ্রধানের আর্জি খারিজ করার পর নিজের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন জেনারেল সিং।