Anubrata Mondal in Delhi: মধ্যরাতে বিচারকের বাড়িতে শুনানি, দিল্লিতে ১০ মার্চ পর্যন্ত ইডির হেফাজতে অনুব্রত
দিনভর নজরে অনুব্রত। আসানসোল থেকে কলকাতা হয়ে দিল্লিতে কেষ্ট। রাজধানীতে শুনানি ঘিরে টানটান নাটক।
বিক্রম দাস ও জ্যোতির্ময় কর্মকার: ভার্চুয়ালি নয়। দিল্লিতে বিচারকের বাড়িতে সশরীরে অনুব্রত মণ্ডলকে পেশ করল ইডি। দু'পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে শুনানি হল মধ্যরাতে। কেষ্টকে ১০ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্য়াভিনিউ কোর্ট। সঙ্গে রোজ স্বাস্থ্য় পরীক্ষা, আধঘণ্টা করে আইনজীবীকে সাক্ষাতের অনুমতি। ১০ মার্চ দুপুর ২টো ফের আদালতে পেশ করা হবে অনুব্রতকে।
সিবিআই আদালত অনুমতি দিয়েছিল আগেই। কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন খারিজের পর, কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দেয় ইডি। সকালে আসানসোলে প্রথমে তাঁকে প্রথমে আনা হয় জোকার ESI হাসপাতালে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর যখন ফিট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, তখন অনুব্রতকে নিয়ে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ইডির আধিকারিকরা। এরপর সন্ধের বিমানেই সোজা দিল্লি।
রাতে যখন দিল্লিতে পৌঁছন, তখন অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে কার্যত মরিয়া হয়ে ওঠে ইডি। কিন্তু কেষ্ট-র আইনজীবী আপত্তিকে মান্য দিয়ে ভার্চুয়ারি শুনানিতে রাজি হননি দিল্লির রাউস অ্য়াভিনিউ আদালতের বিচারক। এরপর মধ্যরাতে অত্যন্ত গোপনে বিচারকের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় অভিযুক্তকে। শুনানি শেষ হয় মধ্য়রাতে।
বিমানে ৪১ নম্বর সিটে বসেছিলেন কেষ্ট। দু'পাশে ইডি-র দুই আধিকারিকা। এরপর বিমানবন্দরের যে গেট দিয়ে বাইরে রেরোন সাধারণ যাত্রীরা, সেই গেট দিয়ে বের করা হয় বীরভূমের তৃণমূল নেতাকেও। এরপর 'ভারত সরকার' লেখা গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ইডি-র দফতরে।
এদিকে অনুব্রতের দিল্লি যাত্রা নিয়ে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'এই দিল্লি নিয়ে যাওয়াটাকে সুস্থ স্বাভাবিক ঘটনা নয়। আইন নিশ্চয়ই আইনের পথে চলবে। কিন্তু যেভাবে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এটা তো প্রমাণিত যে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একজন ভালো নেতাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো বিষয় হচ্ছে'।