প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পাশে প্রধানমন্ত্রী, ক্ষমার প্রশ্নে অনড় বিজেপি

পু়ঞ্চে পাঁচ ভারতীয় জওয়ান হত্যার ঘটনায় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বিজেপি অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতেই হবে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে। আজ ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ছিল বিজেপির। বৈঠকে উঠে আসে পুঞ্চে পাক হানার বিষয়টিও।  ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি নিয়েও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁদের দাবি, ছিটমহল হস্তান্তর চুক্তি কার্যকর করতে  সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মতামতকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে ।

Updated By: Aug 7, 2013, 08:49 PM IST

পু়ঞ্চে পাঁচ ভারতীয় জওয়ান হত্যার ঘটনায় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বিজেপি অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতেই হবে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে। আজ ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ছিল বিজেপির। বৈঠকে উঠে আসে পুঞ্চে পাক হানার বিষয়টিও।  ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি নিয়েও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁদের দাবি, ছিটমহল হস্তান্তর চুক্তি কার্যকর করতে  সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মতামতকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে ।
ছিটমহল হস্তান্তর নিয়ে ইন্দিরা-মূজিব চুক্তি কার্যকর করতে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের ওপর চাপ দিচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু, এই চুক্তি কার্যকর করতে হলে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। সংবিধান সংশোধনের জন্য সংসদে বিরোধীদের পাশে পেতে হবে সরকারকে । সেইলক্ষ্যে বুধবার লালকৃষ্ণ আডবানী, সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি ও রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে নিজের বাসভবনে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। কিন্তু, সমাধান সূত্র মেলেনি। বিজেপি নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে..চুক্তি কার্যকর করলে প্পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের ওপর প্রভাব পড়বে। ছিটমহল চুক্তি কার্যকর করার আগে এই রাজ্যগুলির মত আগে জানতে হবে। মত জানার পরই চুক্তি কার্যকর করা নিয়ে এগোনো উচিত।
 
ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি নয়, বুধবারের বৈঠকে আলোচনার বেশিরভাগ অংশ জুড়েই ছিল পুঞ্চের ঘটনা। পুঞ্চ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতেই হবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে আড়াল করতে সেনাবাহিনীকেও তাঁদের মন্তব্য থেকে সরতে আসতে বাধ্য করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। গোটা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা। তবে, বিরোধীদের প্রবল চাপের মুখেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পাশেই দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পুঞ্চ নিয়ে এ কে অ্যান্টনির ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই বলে আডবানীকে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর  দাবি, সেনাপ্রধানের দেওয়া প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার মন্তব্য করেছিলেন অ্যান্টনি।  
 
 
 
 
 
 

.