এরিকসনকে বকেয়া ৫৫০ কোটি টাকা মিটিয়ে জেল যাত্রা থেকে বাঁচলেন অনিল, সৌজন্যে দাদা মুকেশ
এরিকসন সংস্থাকে বকেয়া না মেটানোর জন্য গত ফেব্রুয়ারিতে অনিল অম্বানীকে দোষী সাব্যস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট। অনিলকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ১৯ মে-র মধ্যে বকেয়া ৫৫০ কোটি টাকা মিটিয়ে দিতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: শেষ মুহূর্তে জেল যাওয়া থেকে রক্ষা পেলেন রিলায়্যান্স কমিউনিকেশনের কর্ণধার অনিল অম্বানী। সৌজন্যে দাদা মুকেশ অম্বানী। সুইডিশ সংস্থা এরিকসনকে ৪৫৩ কোটি টাকা মঙ্গলবারের মধ্যে শোধ দিতে না পারলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এত ক্ষণে জেল যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হত অনিল অম্বানীকে। তবে, অনিলের এমন দুঃসময়ে পাশে এসে দাঁড়ালেন দাদা মুকেশ এবং বৌদি নীতা অম্বানী।
টুইটে তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়ে অনিল লেখেন, আমার দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য দাদা মুকেশ এবং বৌদি নীতাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এ ভাবে সাহায্য পেয়ে আমাদের পরিবারের সম্মান-ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রইল। তাদের এমন আন্তরিকতায় অতীত ভুলে এক সঙ্গে চলার সুযোগ পেলাম। আমি এবং আমার পরিবারের থেকে তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জানা যায়, দুই ভাইয়ের শীতল সম্পর্কের বরফ গলছিল গত বছর থেকেই। সম্প্রতি মুকেশ-নীতার সন্তান আকাশ এবং ইশার জাঁকজমক বিয়েতে হাজির ছিলেন অনিল ও তাঁর পরিবার। মনে করা হচ্ছিল, সেই সময় থেকেই দুই ভাইয়ের সম্পর্ক নতুন করে জোড়া লাগতে শুরু করে। আর অনুঘটকের কাজ করেন তাঁদের মা ককিলাবেন অম্বানী। উল্লেখ্য, ২০০২ সালে ধীরুভাই অম্বানীর মৃত্যুর পর দুই ভাইয়ের মধ্যে রিয়াল্যান্স গোষ্ঠী ভাগ হয়ে যায়। তার পর থেকেই দূরত্ব বাড়তে থাকে অনিল এবং মুকেশের মধ্যে।
আরও পড়ুন- রাত ২টোয় শপথ নিলেন গোয়ার নতুন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত
এরিকসন সংস্থাকে বকেয়া না মেটানোর জন্য গত ফেব্রুয়ারিতে অনিল অম্বানীকে দোষী সাব্যস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট। অনিলকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ১৯ মে-র মধ্যে বকেয়া ৫৫০ কোটি টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। না মেটাতে পারলে জেল হতে পারত অনিলের। এর আগে এরিকসনকে ১০০ কোটি টাকা দেয় রিলায়্যান্স সংস্থা। জানা গিয়েছে, দু’দিন আগে মুকেশের সঙ্গে বৈঠক করেন অনিল। তবে, ঋণ নাকি কোনও চুক্তির মাধ্যমে অনিল ওই মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশ, বাংলার পর বিহারে ধাক্কা মহাজোটে, কংগ্রেসের আবদারে 'না' আরজেডি-র
২০১৪ সালে নেটওয়ার্কের বরাত পেতে রিলায়্যান্স কমিউনিকেশনের সঙ্গে চুক্তি হয় এরিকসনের। তবে, ওই সুইডিশ সংস্থা থেকে ১৫০০ কোটি টাকার নেওয়া ঋণ না মেটাতে পারায় আরকম-এর বিরুদ্ধে মামলা হয় ন্যাশনাল কোম্পানি ল অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলএটি)-তে। সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে গড়ালে গত বছর ৩০ মে রায় আসে ১২০ দিনের মধ্যে বকেয়া টাকা মেটাতে হবে অনিলের সংস্থাকে। কিন্তু বকেয়া টাকা না মেটাতে পারায় সুপ্রিম কোর্টকে অবমাননার অভিযোগে অনিল অম্বানীর বিরুদ্ধে ফের সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয় এরিকসন। ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট অনিল অম্বানীকে ভর্তসনা করে নির্দেশ দেয় ১৯ মে-র মধ্যেই ওই বকেয়া টাকা মেটাতে হবে। না হলে তাঁর জেলে হতে পারে বলে হুঁশিয়ারিও দেয় শীর্ষ আদালত। ভাগ্যিস, দাদা মুকেশ ছিলেন, তাই এ যাত্রায় জেল যাওয়া থেকে রক্ষে পেলেন অনিল।