Manipur: 'যেতে নাহি দিব'! মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র ছিঁড়ে ফেললেন মহিলারা...
Manipur Chief Minister Biren Singh: বহু জায়গায় দেখা যায় মসনদে বসা ব্য়ক্তিটির বিষয়ে বহুজনের বহু আপত্তি তৈরি হয়েছে। তাঁরা বদল চান, পরিবর্তন চান। কিন্তু মণিপুর অন্যরকম দৃষ্টান্ত দেখাল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগত্র ছিঁড়ে ফেললেন সাধারণ মানুষ। 'দয়া করে রিজাইন করবেন না'!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'দয়া করে রিজাইন করবেন না'! অন্যরকম ছবি! নানা জায়গায় দেখা যায় মসনদে বসা ব্য়ক্তিটির বিষয়ে বহু মানুষের বহু আপত্তি তৈরি হয়েছে। তাঁরা বদল চান, পরিবর্তন চান। কিন্তু মণিপুর অন্যরকম দৃষ্টান্ত দেখাল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগত্র ছিঁড়ে ফেললেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন; Rahul Gandhi in Manipur Updates: অগ্নিগর্ভ মণিপুরে রাহুল, কংগ্রেস নেতার কনভয় আটকাল পুলিস!
আজ শুক্রবার নানা ঘটনার ঘনঘটা মণিপুরের। এর মধ্যে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগপত্র ছিঁড়ে ফেললেন মণিপুরের মহিলারা। দীর্ঘদিন ধরে অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে মণিপুর। এই পরিস্থিতিতে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মণিপুরের রাজ্যপাল অনুসুইয়া উইকি'র সঙ্গে দেখা করতে ইম্ফলে রাজভবনে যাচ্ছিলেন। এবং খবর যে, তিনি রাজ্যপালের হাতে তাঁর পদত্যাগপত্র তুলে দিতেই আসছেন। কিন্তু রাজভবনে ঢোকার আগেই মহিলারা মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি আটকে দেন। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ না করতে অনুরোধ করেন।
বহুদিন ধরে গোষ্ঠীহিংসায় জর্জরিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই রাজ্য। এর মধ্যে চূড়াচাঁদপুরের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।
বিগত দু'মাসের উপর জ্বলছে মণিপুর। ট্যুইটারে ট্রেন্ডিং হয়ে রয়েছে 'মণিপুর বার্নিং'। মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কার্যত নাজেহাল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ঘুরে গিয়েছেন। কোনও লাভের লাভ হয়নি। মণিপুরে হিংসা থামার কোনও লক্ষণই নেই। বিরোধীদের একের পর এক আক্রমণের মুখে পড়ে অমিত শাহ সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতেও বাধ্য হয়েছেন অমিত শাহ। এবার রাহুল গান্ধী মণিপুরে গিয়েছেন। দিল্লি থেকে বিমানে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে এসেছেন রাহুল। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল মণিপুরে এসেছেন মূলত দু'টি কাজে। ইম্ফল ও চূড়াচাঁদপুরে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন। পাশাপাশি এখানকার শরণার্থী শিবিরগুলিও পরিদর্শন করবেন। প্রায় ৫০ হাজার শরণার্থী ৩০০-র উপর শিবিরে রয়েছেন এখানে।
দীর্ঘদিন ধরে মণিপুরের সমতলের বাসিন্দা মেইতেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে কুকি এবং নাগা জনগোষ্ঠীর বিরোধ চলছে। তফসিলি উপজাতিদের তালিকাভুক্ত হওয়া মেইতেই সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবি। মেইতেইরা মণিপুরের জনগোষ্ঠীর প্রায় ৫৩ শতাংশ। এঁরা মূলত ইম্ফল উপত্যকাতেই থাকেন। নাগা আর কুকি'রা মণিপুরের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪০ শতাংশ। এঁরাও মণিপুরের পাহাড়ি উপত্যকা অঞ্চলে থাকেন।
আরও পড়ুন; স্বাধীনতা দিবস থেকেই পঞ্চায়েতে আমূল বদল! এবার থেকে টাকা লেনদেন ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমেই
মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতিভুক্তর তালিকায় আনা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে কিছুদিন আগে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। আর এর পরেই নতুন করে উত্তপ্ত হয় উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। হাইকোর্টের নির্দেশের প্রতিবাদে চূড়াচাঁদপুর জেলার তোরবাঙে 'অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মণিপুর' (এটিএসইউএম) 'আদিবাসী সংহতি পদযাত্রা'র ডাক দিয়েছিল। সেখান থেকেই হিংসার সূত্রপাত। সেই সূত্রপাত-মুহূর্ত থেকেই মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন এই হিংসার বলি হয়েছেন।