জঙ্গি হামলার ইঙ্গিত! অমরনাথ যাত্রার পুর্ণার্থীদের ফিরে আসার অনুরোধ সরকারের

লেফ্টটেন্যান্ট জেনারেল ধিলন জানান, আইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) ও টেলিস্কোপ যুক্ত এম-২৪ আমেরিকা স্নাইপার রাইফেল মিলেছে অমরনাথ যাত্রা পথে

Updated By: Aug 2, 2019, 06:01 PM IST
জঙ্গি হামলার ইঙ্গিত! অমরনাথ যাত্রার পুর্ণার্থীদের ফিরে আসার অনুরোধ সরকারের
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: অমরনাথে সেনা জঙ্গি হামলার ইঙ্গিত দেওয়ার পরই পুণ্যার্থীদের ফিরে আসার অনুরোধ জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দারা জঙ্গি হামলার ইঙ্গিত দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  উল্লেখ্য, আজ সেনা জানিয়েছে এমন কিছু জোরালো প্রমাণ মিলেছে, যেখানে স্পষ্ট অমরনাথ যাত্রায় বড়সড় হামলার ছক কষছিল পাক সেনা। সাংবাদিক বৈঠক করে চিনার কর্পস কম্যান্ডার লেফ্টটেন্যান্ট জেনারেল কেজিএস ধিলন জানান, উপত্যাকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে নয়া সলতে পাকাচ্ছে পাকিস্তান। কোনওভাবেই  তা বরদাস্ত করা হবে না।

লেফ্টটেন্যান্ট জেনারেল ধিলন জানান, আইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) ও টেলিস্কোপ যুক্ত এম-২৪ আমেরিকা স্নাইপার রাইফেল মিলেছে অমরনাথ যাত্রা পথে। কিন্তু নির্দিষ্ট কোন জায়গায় বিস্ফোরক মিলেছে তা তদন্তের স্বার্থে জানাননি তিনি। উল্লেখ্য, ১ জুলাই থেকে চলতি বছর অমরনাথ যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে আগামী ১৫ অগস্ট। চলতি বছর রেকর্ড পুর্ণ্যার্থী অমরনাথ পরিদর্শনে গিয়েছে। প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ পুর্ণ্যার্থী অমরনাথ যাত্রা করছেন, যা গত বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি।

আরও পড়ুন- সন্ত্রাস বিরোধী ইউএপিএ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি কংগ্রেসের

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে অমরনাথ যাত্রায় বড়সড় জঙ্গি হামলা হয়। মৃত্যু হয় ৮ পুর্ণার্থীর। অনন্তনাগে পুর্ণার্থীর বাসে অতর্কিত গুলি চালায় জঙ্গিরা। নিহতদের অধিকাংশ ছিলেন গুজরাটের বাসিন্দা। এই হামলায় লস্কর-ই-তইবার হাত ছিল বলে দাবি সেনার। এ দিন লেফ্টটেন্যান্ট জেনারেল ধিলন দাবি করেন, উপত্যাকায় সক্রিয় জঙ্গির উপদ্রব কমেছে। কাশ্মীরের পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু নতুন ভাবে অশান্তি ছড়াতে চাইছে পাক সেনা।

উল্লেখ্য, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কড়া পদক্ষেপ করতে এ দিন সংসদে সন্ত্রাস বিরোধী ইউএপিএ সংশোধনী বিল পাস করায় কেন্দ্র। এই আইনে এবার সন্ত্রাসে জড়িত বা প্ররোচনায় দেওয়ায় কোনও ব্যক্তিকে জঙ্গি তকমা দিয়ে গ্রেফতার করা যাবে। এই বিলের বিরোধিতা করে বিরোধীরা জানায়, এই আইন বিপজ্জনক এবং অসংবিধানিক। এই আইনের অপব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিরোধীরা।

.