ভোটে জিতলে মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর, পঞ্জাবে ঘোষণা রাহুল গান্ধীর
তিনি ব্যতিক্রম! বিগত কয়েক বছরে বারে বারেই সচেতনভাবে সে কথা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন রাহুল গান্ধী। সাংগঠনিক নির্বাচনের মাধ্যমে যুব কংগ্রেসের পদাধিকারী নির্বাচন থেকে শুরু করে দলের আর্থিক লাইনের বাইরে হেঁটে উত্তরপ্রদেশে জমি রক্ষা আন্দোলনের সমর্থনে সোচ্চার হওয়ার মত নানা ঘটনাই তাঁর উদাহরণ।
কংগ্রেস রাজনীতির গড্ডালিকা প্রবাহে তিনি ব্যতিক্রম! বিগত কয়েক বছরে বারে বারেই সচেতনভাবে সে কথা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন রাহুল গান্ধী। সাংগঠনিক নির্বাচনের মাধ্যমে যুব কংগ্রেসের পদাধিকারী নির্বাচন থেকে শুরু করে দলের আর্থিক লাইনের বাইরে হেঁটে উত্তরপ্রদেশে জমি রক্ষা আন্দোলনের সমর্থনে সোচ্চার হওয়ার মত নানা ঘটনাই তাঁর উদাহরণ। এবার চিরাচরিত কংগ্রেসি পরম্পরার ব্যত্যয় ঘটিয়ে বিধানসভা ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন আমেঠির সাংসদ। বুধবার পঞ্জাবের তরনতারনে একটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেসের `ভবিষ্যতের নেতা` দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিলেন, পঞ্জাবে সরকার গড়ার সুযোগ পেলে অমরিন্দর সিংকেই ফের মুখ্যমন্ত্রী করবে দল।
অকালি দল সুপ্রিমো প্রকাশ সিং বাদলের মোকাবিলা করার জন্য পঞ্জাব কংগ্রেসের সবচেয়ে জনপ্রিয় `মুখ` সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। অতীতে দলের তরফে মুখ্যমন্ত্রিত্ব সামলেছেন তিনি। কিন্তু আর এক প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী রাজিন্দর কউর ভট্টলও রয়েছেন চন্ডীগড় সচিবালয়ের দখলদারির দৌড়ে। এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধীর তরফে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পাতিয়ালার রাজা অমরিন্দর সিংকে তুলে ধরার ঘটনা কংগ্রেস রাজনীতির নিরিখে বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ।
সাধারণত কোনও রাজ্যে বিরোধী আসনে থেকে বিধানসভা ভোটের মুখোমুখি হলে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের তরফে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয় না। অন্তর্দলীয় সংঘাত এড়াতে দীর্ঘ দিন ধরেই চলে আসছে এই প্রথা। অনেক সময়ই মুখ্যমন্ত্রী পদে উপযুক্ত কোনও নেতাকে তুলে ধরতে না পারার খেসারত দিতে হয়েছে দলকে। এবার এআইসিসি`র সেই অলিখিত নিয়মের অন্যথা ঘটিয়ে সোনিয়া-তনয় বুঝিয়ে দিলেন, বাস্তব পরিস্থিতি বুঝেই রাজনীতির ময়দানে পদক্ষেপ করতে চান তিনি।