বিকল্প পথে সেতুসমুদ্রম, সায় নেই বিশেষজ্ঞদের
শেষ পর্যন্ত শীর্য আদালতে বিতর্কিত সেতুসমুদ্রম প্রকল্প নিয়ে রিপোর্ট জমা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। `পৌরাণিক রাম সেতু`র অস্তিত্ব সম্পর্কে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করা হলেও এই রিপোর্টে বিকল্প পথে সেতুসমুদ্রম প্রকল্প রূপায়ণের সম্ভাবনা কার্যত নস্যাত্ করা হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত শীর্য আদালতে বিতর্কিত সেতুসমুদ্রম প্রকল্প নিয়ে রিপোর্ট জমা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। `পৌরাণিক রাম সেতু`র অস্তিত্ব সম্পর্কে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করা হলেও এই রিপোর্টে বিকল্প পথে সেতুসমুদ্রম প্রকল্প রূপায়ণের সম্ভাবনা কার্যত নস্যাত্ করা হয়েছে। বিচারপতি এইচ এল দাত্তু এবং বিচারপতি সি কে প্রসাদকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে পেশ হওয়া পরিবেশবিদ রাজেন্দ্রকুমার পাচৌরির নেতৃত্বাধীন কমিটির রিপোর্টে স্পষ্ট ভাষায় জানান হয়েছে, তামিলনাড়ুর ধনুষ্কোডি এবং শ্রীলঙ্কার থলাইমান্নারের মধ্যবর্তী স্থানে পক প্রণালী খনন না করে বিকল্প জলপথ নির্মাণের চেষ্টা কোনওমতেই বাণিজ্যিক এবং পরিবেশগত মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হবে না।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে প্রথম ইউপিএ সরকারের আমলে বঙ্গোপোসাগর থেকে আরব সাগরে জলপথ পরিবহণ ব্যবস্থা সুগম করতে তথাকথিত রামসেতু তথা অ্যাডামস ব্রিজ-এর মধ্যবর্তী স্থানের নাব্যতা বাড়ানোর জন্য ১৬৭ কিলোমিটার দীর্ঘ, ৩০ মিটার প্রশস্ত এবং ১২ মিটার গভীর সেতুসমুদ্রম ক্যানাল প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বিজেপি-সহ হিন্দুত্ববাদী শিবিরের তরফে এই উদ্যোগকে `পৌরাণিক রাম সেতু ধ্বংসের অপচেষ্টা` হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পাশাপাশি পরিবেশবিদদের একটি মহল থেকেও নানা মূল্যবান খনিজ সম্পদে পূর্ণ অ্যাডামস ব্রিজ এলাকায় খননকার্যের বিরোধিতা করা হয়েছিল সে সময়। সেতুসমুদ্রম প্রকল্প রূপায়ণের বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হওয়ার প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ৩ নভেম্বর এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অভিমত জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। এদিন আর কে পাচৌরির নেতৃত্বাধীন বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট আদালতে পেশ করেন সলিসিটর জেনারেল রোহিনটন নরিম্যান।