৬৯ দিনে ডেলিভারি হল ১০ লাখ কন্ডোম

১০০-র মধ্যে ৭৫ শতাংশ এইডস রোগীর শরীরে সংক্রমণ ছড়ায় অনিয়ন্ত্রিত যৌন সংগমের ফলে। এইডস হেল্থকেয়ার ফাউন্ডেশনের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে আবার অনেকেই সচেতনতার অভাবে সুরক্ষিত যৌন সংগমে লিপ্ত হতে পারে না। কারণ হিসেবে উঠে আসছে, নির্দিষ্ট দোকানে বা আউটলেটে গিয়ে তারা কন্ডোম বা ওই জাতীয় জিনিস কিনতে দ্বিধা বোধ করেন।

Updated By: Nov 12, 2017, 04:31 PM IST
৬৯ দিনে ডেলিভারি হল ১০ লাখ কন্ডোম

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে সামাজিক স্তরে অস্বস্তি থাকার ফলেই বাড়ছে না কন্ডোমের ব্যবহার। কিন্তু কন্ডোমের প্রয়োজনীয়তার কথা বোঝেন অনেকেই। শুধু যা চক্ষু লজ্জাটাই সমস্যা। অনলাইনে মাত্র ৬৯ দিনে ১০ লক্ষ কন্ডোমের ফি ডেলিভারির পরিসংখ্যান অন্তত তেমনটাই বলছে।

নিজে থেকে দোকানে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে কন্ডোম কেনার বা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে রয়েছে সংকোচবোধ। ফল স্বরুপ অনিয়ন্ত্রিত যৌন মিলনের জন্য যেমন একদিকে বাড়ছে এইডসের প্রবণতা, তেমনই লাগাম ছাড়াচ্ছে জনসংখ্যাও। সমীক্ষা বলছে মাত্র ৫ শতাংশ ভারতীয় যৌন সংগমের সময় কন্ডোম ব্যবহার করেন। এবার সেই প্রবণতা কমাতেই এগিয়ে এসেছে এইডস হেল্থকেয়ার ফাউন্ডেশন ও হিন্দুস্থান ল্যাটেক্স লিমিটেড নামে একটি সংস্থা। তাদের উদ্যোগে ভারতে খোলা হয়েছে অনলাইন কন্ডোম স্টোর। আর তাতেই কেল্লাফতে। মাত্র ৬৯ দিনে অনলাইনে ১০ লাখ কন্ডোম বিনা মূল্যে বুক করা হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে চাহিদা তৈরি হয়েছে আরও ২০ লাখের।

১০০-র মধ্যে ৭৫ শতাংশ এইডস রোগীর শরীরে সংক্রমণ ছড়ায় অনিয়ন্ত্রিত যৌন সংগমের ফলে। এইডস হেল্থকেয়ার ফাউন্ডেশনের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে আবার অনেকেই সচেতনতার অভাবে সুরক্ষিত যৌন সংগমে লিপ্ত হতে পারে না। কারণ হিসেবে উঠে আসছে, নির্দিষ্ট দোকানে বা আউটলেটে গিয়ে তারা কন্ডোম বা ওই জাতীয় জিনিস কিনতে দ্বিধা বোধ করেন। আর তাই উদ্যোগ নিলেও, ভারতে এইডস রোধ করতে বেগ পেতে হচ্ছে সরকারকে।

আরও পড়ুন- আইসিসে কেরলের ১০০ তরুণ, দাবি পুলিসের

সমস্যা মোকাবিলায় চলতি বছর এপ্রিল মাসে সামনে আসে নতুন উদ্যোগ। ২৮ এপ্রিল এইডস হেল্থকেয়ার ফাউন্ডেশন ও হিন্দুস্থান ল্যাটেক্স লিমিটেড যৌথভাবে একটি অনলাইন কন্ডোম স্টোর চালু করে। সম্প্রতি, ইডস হেল্থকেয়ার ফাউন্ডেশনের তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, অনলাইন স্টোরটি চালু হওয়ার পর মাত্র ৬৯ দিনে ৯.৫৬ লাখ কন্ডোমের অর্ডার হয়েছে। চাহিদার সংখ্যা দিল্লি ও কর্নাটক থেকে সবচেয়ে বেশি। চাহিদা সামাল দিতে ডিসেম্বরের আগে আরও ২০ লাখ ও আগামী বছর জানুয়ারিতে আরও ৫০ লাখ কন্ডোম তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে তাদের পক্ষ থেকে।

ইডস হেল্থকেয়ার ফাউন্ডেশনের দাবি, ভারতে কিছু সামাজিক প্রতিবন্ধকতা থাকার ফলে কন্ডোম কেনার ক্ষেত্রে অনেকে লজ্জাবোধ কাজ করেন। তাই যারা দোকানে বা আউটলেটে যেতে সংকোচ বোধ করেন তারাই এবার অনলাইনে অর্ডার করছেন। ফাউন্ডেশনের সমীক্ষায় উঠে এসেছে ভারতীয়দের মধ্যে শতাংশের হারে কলকাতায় কন্ডোম ব্যবহারের সংখ্যা সবথেকে বেশি। সেখানে প্রায় ১৯ শতাংশ কন্ডোম বিক্রি হয়। এরপরই রয়েছে দিল্লি ১০ শতাংশে। বেঙ্গালুরুতে ৩.৬ শতাংশ।

 

.