দায়িত্ব পেয়েই সিপিএমের পথে হাঁটলেন কংগ্রেসের নতুন কোষাধ্যক্ষ
২০১৪-য় ক্ষমতা যাওয়ার পর থেকেই কংগ্রেসের পার্টি ফাঁন্ডের ভাঁড়ে মা ভবানী। উলটো দিকে লাফিয়ে বেড়েছে বিজেপির কোষাগার। এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পেয়েই অর্থ সংগ্রহ কর্মসূচির ভিত্তিতে কংগ্রেস কর্মীদের সক্রিয় করার পরিকল্পনা করেছেন আহমেদ পটেল। জানিয়েছেন, অর্থ সংগ্রহ করতে এবার বাড়ি-বাড়ি যাবেন কংগ্রেস কর্মীরা। তাছাড়া নিজেরাও অনুদান দেবেন পার্টিফান্ডে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নবীন নয়, প্রবীণেই ভরসা রাখল দেশের সব থেকে পুরনো রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। প্রায় ২ দশক পর ফের কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ হলেন আহমেদ পটেল। মঙ্গলবার দলের তরফে একথা জানানো হয়েছে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মোতিলাল ভোরার স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। এতদিন কংগ্রেস সভাপতির ব্যক্তিগত সচিবের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিরও সদস্য ছিলেন আহমেদ পটেল।
কাকতালীয় ভাবে মঙ্গলবারই ছিল আহমেদ পটেলের জন্মদিন। এদিন ৬৯-এ পা দিলেন তিনি। আর এদিনই তাঁকে ফের বসানো হল কোষাধ্যক্ষের পদে। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত এই পদ সামলেছেন আহমেদ পটেল।
২০১৪-য় ক্ষমতা যাওয়ার পর থেকেই কংগ্রেসের পার্টি ফাঁন্ডের ভাঁড়ে মা ভবানী। উলটো দিকে লাফিয়ে বেড়েছে বিজেপির কোষাগার। এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পেয়েই অর্থ সংগ্রহ কর্মসূচির ভিত্তিতে কংগ্রেস কর্মীদের সক্রিয় করার পরিকল্পনা করেছেন আহমেদ পটেল। জানিয়েছেন, অর্থ সংগ্রহ করতে এবার বাড়ি-বাড়ি যাবেন কংগ্রেস কর্মীরা। তাছাড়া নিজেরাও অনুদান দেবেন পার্টিফান্ডে।
বলে রাখি, আট ও নয়ের দশকে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস যখন প্রধান বিরোধী দলের আসনে তখন প্রায়ই ক্ষমতাসীন সিপিএমের বিরুদ্ধে কৌটো নাচিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ তুলত তারা। দলের কোষাগারের দায়িত্ব পেয়ে কার্যত সেই পথেই হাঁটলেন আহমেদ প্যাটেল।
রাহুল গান্ধী কি দেশে সমান্তরাল সরকার চালাতে চাইছেন? সিধুকাণ্ডে তোপ বিজেপির
এছাড়া এদিন প্রাক্তন মন্ত্রী আনন্দ কুমারকে দলের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমারকে ওয়ার্কিং কমিটির স্থায়ী সদস্য করেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দলের বিভিন্ন স্তরে রদবদল করছেন রাহুল গান্ধী। ইতিমধ্যেই দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে বাদ পড়েছেন দিগ্বিজয় সিং, সুশীলকুমার শিন্ডে, জনার্দন দ্বীবেদীর মতো নেতা। আশা ছিল দলের বয়স্ক নেতাদের সরিয়ে যুবকদের সুযোগ দেবেন রাহুল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তেমন কিছু হল না। ফলে কংগ্রেসের যুব নেতাদের অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।