Agnipath Scheme: 'অগ্নিপথ'-এ পুড়ছে দেশ! রাজ্যে রাজ্যে রেলে আগুন, বাতিল একাধিক ট্রেন
মাঝ রাস্তায় আটকে গিয়েছে হাওড়া-শিয়ালদহ থেকে ছাড়া আটটি ট্রেন। বিহারে উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও হামলা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : 'অগ্নিপথ'-এর আঁচ দেশজুড়ে (Agnipath)। বিহারের সমস্তিপুরের পর এবার উত্তরপ্রদেশের বালিয়া ও তেলেঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে ট্রেনে আগুন (Trains Set Ablaze) দিলেন বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর করা হয় রেলস্টেশন, ট্রেনের জানলা। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিসও। পুলিস ও রেলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা পরে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনেন। জ্বলন্ত কামরাগুলি (Train Fire) সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
শুধু রেলস্টেশনে হামলা বা রাস্তায় অবরোধ-বিক্ষোভ নয়, বিহারে উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। বিহারের বেতিয়ায় উপমুখ্যমন্ত্রী রেণু দেবীর বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ।
#WATCH | Bihar: The residence of Deputy CM Renu Devi, in Bettiah, attacked by agitators during their protest against #AgnipathScheme
Her son tells ANI, "Our residence in Bettiah was attacked. We suffered a lot of damage. She (Renu Devi) is in Patna." pic.twitter.com/Ow5vhQI5NQ
— ANI (@ANI) June 17, 2022
এদিকে অগ্নিপথ বিক্ষোভের জেরে ব্যাপকভাবে ব্যাহত ট্রেন চলাচল। মাঝ রাস্তায় আটকে গিয়েছে হাওড়া-শিয়ালদহ থেকে ছাড়া আটটি ট্রেন। বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে পূর্বা, দুন, শিয়ালদা-নয়াদিল্লি দুরন্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া-মুম্বই CSTM, হাওড়া-অমৃতসর মেল। এছাড়াও সময়সূচি বদলাতে পারে হাওড়া-ধানবাদ ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস, আসানসোল-টাটা এক্সপ্রেস, জয়নগর-হাওড়া এক্সপ্রেস, মালদা টাউন-কিউল এক্সপ্রেসের। বাতিল করা হয়েছে মালদা টাউন-লোকমান্য এক্সপ্রেস, হাওড়া-নিউ দিল্লি দুরন্ত এক্সপ্রেস। একইসঙ্গে দিল্লিগামী তিনটি ট্রেন বাতিল করল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলও ৷ কারণ, অগ্নিপথের কারণে উত্তপ্ত বিহার ৷ তাই বাতিল করা হয়েছে আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে দিল্লি এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড় থেকে লালগড় এক্সপ্রেস ও কামাখ্যা-আনন্দবিহার এক্সপ্রেস।
#WATCH | Telangana: Secunderabad railway station vandalised and a train set ablaze by agitators who are protesting against #AgnipathRecruitmentScheme. pic.twitter.com/2llzyfT4XG
— ANI (@ANI) June 17, 2022
যদিও চাপের মুখে নিয়ম শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রস্তাবিত প্রকল্পে নিয়োগে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা একুশ থেকে বাড়িয়ে তেইশ করেছে মোদী সরকার। কিন্তু তারপরেও বিক্ষোভ থামছে না। এই পরিস্থিতিতে প্রকৃত চাকরি প্রার্থীরাই কি বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন? নাকি রাজনৈতিক দলগুলি কর্মপ্রার্থীদের ঢাল করে বাইরে থেকে লোক এনে অশান্তি ছড়াচ্ছেন? প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং।