ফের লাদাখে অনুপ্রবেশের চেষ্টা লাল ফৌজের, সাম্প্রতিক ঘটনায় সীমান্তে এই প্রথম চলল গুলি
সূত্রের খবর, প্রকৃত সীমান্ত রেখা পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পিএলএ-ই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত দু’সপ্তাহে এ নিয়ে দু’বার। প্রথম, ২৯ অগস্ট রাতে ভারতের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে লাল ফৌজের দল। দ্বিতীয় গতকাল। এ দিনও পিপলস লিবারেশন আর্মি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। যদিও চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে সমস্ত অভিযোগ নস্যাত্ করে তাদের দাবি, ভারতীয় সেনাই প্যাংগং লেক এবং শেনপাও পর্বতের দক্ষিণ কোলের দিকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। ভারতের তরফে গুলি চালানোরও অভিযোগ তোলে পিএলএ।
সূত্রের খবর, প্রকৃত সীমান্ত রেখা পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পিএলএ-ই। টহল দেওয়ার সময় তাদের গতিবিধি চোখে পড়ে সেনার। তত্ক্ষণাত্ পিছু হটার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। কিন্তু হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে শেনপাও পর্বতের (যেটি ‘গড পাও হিল’ নামে পরিচিত) গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখলের চেষ্টা চালায়। সূত্রে আরও খবর, ব্যাট, রড নিয়ে লাল ফৌজ হামলা চালায়। ভারতীয় সেনার তরফে ক্রমাগত প্রতিরোধের চেষ্টা করা হয়। শেষমেশ, গুলি (ওয়ার্নিং শট) চালাতে বাধ্য হয় সেনা। অন্য একটি সূত্র বলছে, চিনা কম্যান্ডারদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিলেন এক ভারতীয় ব্রিগেডিয়ার। সে সময় এই ঘটনাটি ঘটে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অগস্ট রাতে প্যাংগং লেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করতে দেখা যায় লাল ফৌজদের। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আগেই ভারতীয় সেনা রুখে দেয়। সে সময় কোনও গুলি চলেনি। এমনকি গত ১৫ জুন দুই দেশের সেনা হাতাহাতিতে শহিদ হয়েছিলেন ২০ জওয়ান। চিনের তরফেও আহত ও মৃত্যুর খবর ছিল। যদিও চিন তা স্বীকার করেনি। এ ঘটনাতেও কোনও গুলি চলেনি। তাই গতকালের এই ‘সতর্কীকরণ গুলি’ ভারত-চিন বিবাদে নতুন মাত্র পেল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এ ঘটনা নিয়ে সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি সেনা।
আরও পড়ুন: লাদাখ পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক, প্রয়োজন গভীর আলোচনার, জয়শঙ্করের গলায় উত্কণ্ঠার সুর