প্রজাতন্ত্র দিবসের বিজ্ঞাপনের পর এবার রাজ্যসভার ক্যালেন্ডার থেকে বাদ পড়ল 'ধর্মনিরপেক্ষ' ও 'সমাজতান্ত্রিক' শব্দ দুটি

প্রজাতন্ত্র দিবসের সরকারি বিজ্ঞাপনের পর এবার রাজ্যসভার ক্যালেন্ডার থেকে বাদ পড়ল 'সমাজতান্ত্রিক' 'ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দদুটি। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের বিতর্কিত বিজ্ঞাপনের মতই এই ক্যালেন্ডারেও রয়েছে সংবিধানের প্রাথমিক প্রস্তাবনার ছবি। যেখানে নেই 'সেক্যুলার' ও 'সোসালিস্ট' শব্দ দুটো।

Updated By: Jan 30, 2015, 09:03 PM IST
প্রজাতন্ত্র দিবসের বিজ্ঞাপনের পর এবার রাজ্যসভার ক্যালেন্ডার থেকে বাদ পড়ল 'ধর্মনিরপেক্ষ' ও 'সমাজতান্ত্রিক' শব্দ দুটি
Photo courtesy: indiatoday in

ওয়েব ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবসের সরকারি বিজ্ঞাপনের পর এবার রাজ্যসভার ক্যালেন্ডার থেকে বাদ পড়ল 'সমাজতান্ত্রিক' 'ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দদুটি। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের বিতর্কিত বিজ্ঞাপনের মতই এই ক্যালেন্ডারেও রয়েছে সংবিধানের প্রাথমিক প্রস্তাবনার ছবি। যেখানে নেই 'সেক্যুলার' ও 'সোসালিস্ট' শব্দ দুটো।

প্রজাতন্ত্র দিবসের সেই বিজ্ঞাপনের পর কংগ্রেস সহ অনান্য বিরোধীরা সরকারের বিরোধীতায় সরব হয়েছিল। কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেন এই বিজ্ঞাপন আসলে সরকারে সাম্প্রদায়িক ও কর্পোরেট চরিত্র সামনে নিয়ে এসেছে।

এরমধ্যেই আবার বিজেপির সহযোগী দল শিবসেনা সংবিধান থেকে 'ধর্মনিরপেক্ষ' ও 'সমাজতান্ত্রিক' শব্দদুটো পাকাপাকি ছেঁটে ফেলার দাবি জানিয়েছিল।

রাজ্যসভা অবশ্য তাদের এই ক্যালেন্ডারের স্বপক্ষে যুক্তি সাজিয়েছে। সাংসদের উচ্চকক্ষের চেয়ারপার্সেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন এই ক্যালেন্ডার ইতিহাসের প্রতি সম্মান জানিয়েছে, সংবিধানের আসল ঐতিহাসিক প্রস্তাবনার ছবিটা তুলে ধরেছে।

 'ধর্মনিরপেক্ষ' ও 'সমাজতান্ত্রিক' শব্দদুটি ১৯৫০ সালে  জন্মলগ্নে সংবিধানের অংশ ছিল না। এমারজেন্সির সময় ইন্দিরা গান্ধী ৪২ তম অ্যামেন্ডমেন্টে প্রস্তাবনা পরিবর্তন করে এই শব্দ দুটিকে সংবিধানের অংশ করেন।

তবে, কেন্দ্রীয় সরকার এই নিয়ে বিতর্কটা জিইয়েই রাখতে চাইছে। কেন্দ্রীয় টেলিকম মিনিস্টার রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেছেন ''যে কংগ্রেসিরা এত চেঁচামেচি করছেন তাঁরা প্রথমে একটা সহজ প্রশ্নের উত্তর দিন-সংবিধান তৈরির সময় জওহরলাল নেহেরুও কিন্তু এই শব্দ দুটিকে সংবিধানের অংশ করার কথা ভাবেননি। নেহেরু কি ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন না? আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীরা কি ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন না? তাঁরা যখন এই শব্দ দুটিকে সংবিধানের অংশ করার কথা ভাবেননি তার মানে নিশ্চই এর পিছনে কোনও কারণ ছিল। তারমানে কি এই যে,১৯৭৬ সালের আগে কি এই দেশ ধর্মনিরপেক্ষ ছিল না?''

প্রসাদের দাবি নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের একের পর এক প্রকল্পের দিকে নজর দিলে বোঝা যাবে এই সরকার কীভাবে সারা দেশকে এক সুতো দিয়ে বেঁধে রাখতে চাইছে।

তবে আর এক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু জানিয়েছেন ''আমরা ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই শব্দবাদ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।''

 

 

 

 

 

.