একনাথ শিন্ডেকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ আদিত্য ঠাকরের, জানালেন জনগনের রায় চাওয়ার দাবি
আদিত্য ঠাকরে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন একনাথ শিন্ডেকে। একনাথ শিন্ডের প্রাইভেট কোম্পানির দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন তিনি। শিবসেনা কোনও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি নয়। বালাসেহেবের ভাবনা ঠাকরে পরিবারের একার সম্পত্তি নয়। শিন্ডে আরও বলেন যে সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করা কোনও ব্যক্তিও মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের সভাপতি হতে পারেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিবসেনার দখল নিয়ে উদ্ধব ঠাকরে এবং বিরোধী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন দুটি ভাগের মধ্যে আইনি লড়াই চলছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একাধিক পিটিশন দাখিল করা হয়েছে আদালতে। সব মামলার শুনানি একত্রে চলছে আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সংবিধান বেঞ্চ এই মামলাগুলি শুনছে। যদিও দুটি পক্ষই রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন সভায় শিবসেনার কর্তৃত্ব দাবি করেছে। মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে বহুবার জানিয়েছেন যে ‘শিবসেনা কোনও প্রাইভেট লিমিটেদ কোম্পানি নয়’। এই বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন যুব সেনার নেতা আদিত্য ঠাকরে।
একনাথ শিন্ডের দাবি
শিবসেনা কোনও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি নয়। বালাসেহেবের ভাবনা ঠাকরে পরিবারের একার সম্পত্তি নয়। শিন্ডে আরও বলেন যে সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করা কোনও ব্যক্তিও মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের সভাপতি হতে পারেন। আসলে একটা প্রপাগান্ডা চলছে যে শিবসেনা আসলে শিবসৈনিকদের। বালাসাহেবও তাই বলতেন। শিবসেনার উপর শিবসৈনিকদের দাবি আছে। তা শুধুমাত্র ঠাকরে পরিবারের একার নয়। শিন্ডে দাবি করেছেন যে আসল শিবসৈনিকরা তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। শিন্ডের পক্ষ দাবি করেছে যে তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে চায়না।
আরও পড়ুন: PM Kisan: কৃষকদের আয় বাড়াতে অর্থমন্ত্রীর বড় ঘোষণা! জেনে নিন কী...
কী বললেন আদিত্য ঠাকরে?
আদিত্য ঠাকরে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন একনাথ শিন্ডেকে। একনাথ শিন্ডের প্রাইভেট কোম্পানির দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন তিনি। আদিত্য জানিয়েছেন, ‘এটা হাস্যকর। আড়াই বছর ধরে যা করার ছিল তিনি তাই করেছেন। যখন সুযোগ আসে যে আপনি একটি বাক্স দিয়ে অন্যদের কিনতে পারেন, তখন আপনি যা করতে চেয়েছিলেন তাই করেছেন। এটাকে হাস্যকর বলার পেছনে দুটি প্রধান বিষয় রয়েছে। যদি তাই হয়, তাহলে তাদের ঠাকরে এবং শিবসেনার নাম দরকার কেন? যদি শিবসেনার কোনও ব্যক্তিগত সম্পত্তি না হয়, তাহলে আপনি ৪০ জন বিশ্বাসঘাতক এবং আমি একাই এমএলএ থেকে পদত্যাগ করে জনগণের কাছে যাব। জনগণের কাছে একবারের জন্য রায় চাওয়া হোক। সিদ্ধান্ত যাই হোক, আমরা মেনে নেব।‘