One Nation One Election: 'এক দেশ এক নির্বাচন', কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটিতে শাহ-র সঙ্গে অধীর চৌধুরী
One Nation One Election: লোকসভা ভোটের আগে মোদী সরকারের একটি বড় চমক এখন এটাই। এনিয়ে বিরোধীদের মতামত জানতে সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সেই অধিবেশন হবে ১৮-২৫ সেপ্টেম্বর
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন। এক দেশ, এক নির্বাচন। লোকসভা ভোটের আগে মোদী সরকারের একটি বড় চমক এখন এটাই। এনিয়ে বিরোধীদের মতামত জানতে সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সেই অধিবেশন হবে ১৮-২২ সেপ্টেম্বর। ওই ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে দেখতে ইতিমধ্যেই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে রয়েছে রাজ্য কংগ্রেস প্রধান অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ওই কমিটিতে আরও যারা রয়েছেন তার হলেন অমিত শাহ, গুলাম নবি আজাদ, এন কে সিং, সুভাষ সি কাশ্যপ, হরিশ সালভে ও সঞ্জয় কোঠারি।
আরও পড়ুন-'সমস্যা না মিটলে সোমবার থেকে ধরনা', রাজ্যজুড়ে লোডেশেডিংয়ে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
সংসদের বিশেষ অধিবেশন নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, কী এমন হল যে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকতে হল। ভোট আসছে। কয়কচি রাজ্যের নির্বাচন হতে চলেছে। বিজেপির অবস্থা শোচনীয়। মানুষকে কীভাবে বিপথে চালিত করা যায় তার জন্যই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সুযোগ পেলে দেখিয়ে দেব যে এটা কোনও অমৃতকাল নয়। সরকারের সাহস থাকলে চিন ও মণিপুর নিয়ে আলোচনা করুক।
We believe that the High Level Committee on Simultaneous Elections is nothing but a systematic attempt to sabotage India's parliamentary democracy.
In a shocking insult to Parliament, the BJP has appointed a former LOP to the Committee instead of Rajya Sabha LOP Sh. Mallikarjun…
— K C Venugopal (@kcvenugopalmp) September 2, 2023
উল্লেখ্য, 'এক দেশ, এক নির্বাচন' বলতে বোঝায় সারা দেশে লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনগুলি একযোগে অনুষ্ঠিত হওয়া। যেমনটি ভারতে প্রথম কয়েক দফা নির্বাচনের সময় হয়েছিল। ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ভারতে একযোগে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনার নিয়ম ছিল। আর সেইভাবে চারটি নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৬৮-৬৯ সালে কিছু রাজ্যের বিধানসভা অকালে ভেঙে যাওয়ার পর এই একযোগে ভোট ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। এখন বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে কথা বলেছেন। পাশাপাশি এটি ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে দলের ইশতেহারেও ছিল।
এদিকে, সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের বক্তব্য, কমিটিতে গুলাম নবি আজাদের মতো প্রাক্তন সংসদ কেন? গোটা বিষয়টিকে একটা গিমিকের পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে গিয়েছে বিজেপি।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনী ইশতেহারে, বিজেপি বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন একসঙ্গে করার জন্য একটি পদ্ধতি তৈরি করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ইশতেহারের ১৪ নম্বর পাতায় বলা হয়েছিল, "বিজেপি অপরাধীদের নির্মূল করতে নির্বাচনী সংস্কার শুরু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিজেপি অন্যান্য দলগুলির সাথে পরামর্শের মাধ্যমে, বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন একইসঙ্গে করার পদ্ধতি তৈরি করতে চাইবে। নির্বাচনী খরচ কমানোর পাশাপাশি রাজনৈতিক দল এবং সরকার উভয়ের জন্যই ভালো। এটি রাজ্য সরকারের জন্য নির্দিষ্ট স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে। আমরা বাস্তবসম্মতভাবে ব্যয়ের সীমা সংশোধনের দিকেও নজর দেব।"