'মোদী খুদা কা নুর, ভারত কা কোহিনুর', প্রধানমন্ত্রী কথা রাখায় উচ্ছ্বসিত মুসলিম মহিলারা
তিন তালাক থেকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নমো।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রচারে অন্যতম হাতিয়ার ছিল তিন তালাক লোপ। কথা দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় ফিরলে তিন তালাকের অবসান করেই ছাড়বেন। বৃহস্পতিবার লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল তিন তালাক বিল। এরপরই উচ্ছ্বাসে মাতল মুসলিম মহিলাদের একাংশ। আইনমন্ত্রী রবিশঙ্করপ্রসাদ বলেন,'আজ ঐতিহাসিক দিন। সংসদের দুই কক্ষেই পাশ হয়ে গিয়েছে তিন তালাক বিল। এটা বদলে যাওয়া ভারতের সূচনা'।
তাত্ক্ষণিক তিন তালাক প্রথা অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপর কড়া আইন আনে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু লোকসভায় বিলটি পাশ হলেও আটকে যায় রাজ্যসভায়। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিরোধীরা। লোকসভা ভোটে তিন তালাক নিয়ে সরব হয়েছিল বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিতে যোগদান করেন তিন তালাকের নির্যাতিতা তথা মামলকারী ইশরাত জাহান। এরাজ্যেও তিন তালাক নিয়ে জমে ওঠে প্রচার। প্রধানমন্ত্রী প্রচার করেন, মুসলিম মহিলাদের অধিকার নিয়ে ভাবিত নয় বিরোধীরা। তারা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে। তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসলে তিন তালাক প্রথার অবসান করেই ছাড়বে। বিজেপির এমন জোরালো প্রচারের সামনে যুক্তি পেশ করতে পারেনি বিরোধীরা। সে কারণে বিষয়টি এড়িয়েই গিয়েছিল তারা। তার ফল হাতেনাতে। গেরুয়া শিবিরের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট বলছে, শুধুমাত্র তিন তালাক ইস্যুতেই বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন বহু মুসলিম মহিলা।
মোদী নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতেই বিজেপি সংখ্যালঘু সেলের মহিলারা প্রচার করেছিলেন, মোদী খুদা কা নুর হ্যায়, ভারত কা কোহিনুর হ্যায়। উমা বানো, নুরজহান, শাবিনা বেগমের মতো মুসলিম মহিলারা বলেছিলেন, তিন তালাক, হালালার মতো প্রথা থেকে মুক্তি দেবেন মোদী। তিন তালাক থেকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নমো। ক্ষমতায় আসার পর ১০০ দিন পুরো হওয়ার আগেই কথা রাখলেন নরেন্দ্র মোদী।
এদিন টুইটারে মোদী লিখেছেন, ,'সেকেলে ও মধ্যযুগীয় প্রথাকে অবশেষে ইতিহাসের ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হল। তিন তালাক প্রথাকে লোপ করা হল সংসদে। মুসলিম মহিলাদের প্রতি ঐতিহাসিকভাবে যে ভুল করা হয়েছে, তা শোধরানো হল। এটা লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ ও সামাজিক সাম্যের পক্ষে জয়'।
An archaic and medieval practice has finally been confined to the dustbin of history!
Parliament abolishes Triple Talaq and corrects a historical wrong done to Muslim women. This is a victory of gender justice and will further equality in society.
India rejoices today!
— Narendra Modi (@narendramodi) July 30, 2019
রাজ্যসভায় বিজেপি সংখ্যালঘু। তা সত্ত্বেও কৌশলে বাজিমাত করেছে তারা। গেরুয়া শিবিরকে সুবিধা পাইয়ে দিতে অধিবেশনকক্ষ থেকে ওয়াকআউট করে জেডিইউ, টিআরএস ও এআইডিএমকে। ভোটাভুটিতে বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ৯৯টি। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৮৪ জন সাংসদ।
আরও পড়ুন- কর্ণাটকে পালাবদলের পর 'অত্যাচারী' টিপু সুলতানের জন্মদিন পালন বন্ধ করল বিজেপি