বকেয়া আদায়ে দিল্লিতে দরবার তৃণমূলের, কেন্দ্রীয় সচিবের কথায় বিস্ফোরক অভিযোগ অভিষেকের!
অভিষেক জানান, 'মন্ত্রী ছিলেন না, তাই সচিবদের সঙ্গে দেখা করি। কী কারণে বকেয়া আটকে, প্রশ্ন করেছি। উত্তর দিতে পারেননি সচিব। একজন সচিব অবশ্য বললেন যে, আমরা বাংলার টাকা ছাড়তে চাই। কিন্তু প্রতিবার এসে এরা ক্ষোভ-বিক্ষোভ করে বলেন যে বাংলার টাকা ছাড়া যাবে না।'
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে দিল্লিতে তত্পর তৃণমূল। রাজ্যের বকেয়া মেটানোর দাবিতে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন দিল্লির কৃষিভবনে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, শান্ত্বনু সেন, সৌগত রায়, দোলা সেন, প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় প্রমুখ তৃণমূল সাংসদরা। অভিষেকের নেতৃত্বেই কৃষিভবনে যান ২৫ সাংসদ।
কৃষিভবনে গিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চায় তৃণমূল। কিন্তু মন্ত্রী ছিলেন না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়নি অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূল সাংসদদের। এপ্রসঙ্গে কৃষিভবন থেকে বেরিয়ে এসে চড়া সুরে তোপ দাগলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বলেন, 'ডেরেক ও'ব্রায়েনের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর। তখন উনি ৫ তারিখ দেখা করবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু কথা দিয়েও থাকেননি মন্ত্রী। যদিও সকালে সংসদে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা আসব জেনেই হয়তো নেই মন্ত্রী। কারণ, তাঁর কাছে হয়তো আমাদের প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই।'
অভিষেক জানান, 'মন্ত্রী ছিলেন না, তাই সচিবদের সঙ্গে দেখা করি। কী কারণে বকেয়া আটকে, প্রশ্ন করেছি। উত্তর দিতে পারেননি সচিব। একজন সচিব অবশ্য বললেন যে, আমরা বাংলার টাকা ছাড়তে চাই। কিন্তু প্রতিবার এসে এরা ক্ষোভ-বিক্ষোভ করে বলেন যে বাংলার টাকা ছাড়া যাবে না।' অভিষেক তোপ দাগেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধেও সাহায্য মেলেনি। ৭ হাজার কোটি টাকা বকেয়া। ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া, আবাস যোজনার টাকা বকেয়া। এই বকেয়া রাজ্যের পাওনা।'
এরপরেও এসে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয় মন্ত্রীর দেখা না পেলে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সামনেই ধরনার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত এদিন দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি নিজে ধরনায় বসবেন বলেও জানান অভিষেক। এদিন কৃষিমন্ত্রকের সচিবদের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেয় তৃণমূল।
আরও পড়ুন, Justice Abhijit Ganguly: রক্তপিপাসু দালালরা রক্তের লোভে আমার পিছনে ছুটছে! বিস্ফোরক বিচারপতি গাঙ্গুলি