প্রথমদিনেই অনলাইনে আপের সদস্য হলেন ৩ লক্ষ আম আদমি

লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নামল আম আদমি পার্টি। আজ থেকে শুরু হয়ে ছাব্বিশে জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে অভিযান। এই সময়ের মধ্যে এক কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে আপ। সময়সীমা পেরনোর পরেও অবশ্য আম আদমি পার্টিতে নাম লেখাতে পারবেন যে কেউ। গোটা দেশে আপ যত ডালপালা মেলছে ততই চাপ বাড়ছে বিজেপির উপর। আপের মোকাবিলায় কোন পথে এগোবে দল তা নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে আজ বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে।

Updated By: Jan 10, 2014, 10:57 PM IST

লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নামল আম আদমি পার্টি। আজ থেকে শুরু হয়ে ছাব্বিশে জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে অভিযান। এই সময়ের মধ্যে এক কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে আপ। সময়সীমা পেরনোর পরেও অবশ্য আম আদমি পার্টিতে নাম লেখাতে পারবেন যে কেউ। গোটা দেশে আপ যত ডালপালা মেলছে ততই চাপ বাড়ছে বিজেপির উপর। আপের মোকাবিলায় কোন পথে এগোবে দল তা নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে আজ বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে।

দিল্লির নির্বাচনী সাফল্যকে সম্বল করে গোটা দেশে প্রভাব বিস্তার করতে চায় আম আদমি পার্টি। দলের ভিত্তি বাড়াতে এবার তাই সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করল দল। শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে ছাব্বিশে জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে অভিযান। এই সময়ের মধ্যে এককোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেজরিওয়ালের দল। প্রথমে সদস্য পিছু দশ টাকা করে চাঁদা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল আপের। পাছে সদস্য সংখ্যা কমে যায় তাই সেপথ এড়িয়েছেন আপ প্রধান। আপের সদস্য হতে চাইলে এসএমএস বা মিস কল দিতে পারেন। অনলাইন অথবা হাতে ফর্ম ফিলাপ করেও জমা দিতে পারেন ইচ্ছুক ব্যক্তিরা। এভাবে সদস্য সংগ্রহ হলে দুর্নীতিগ্রস্ত লোকও ঢুকে পড়তে পারে দলে? এই প্রশ্নের জবাবে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন সদস্য যে কেউ হতে পারে তবে ভোটে দাঁড়ালেই যাচাই হবে সবকিছু।

প্রথমদিনে, শুধু অনলাইনেই তিন লক্ষ মানুষ আপের সদস্য হয়েছেন। বাকি সব পদ্ধতি জুড়লে সংখ্যাটা বেশ আশাপ্রদ বলেই দাবি আপের। সহজভাবে আম আদমির হেঁসেলে যত ঢুকে পড়তে চাইছে আম আদমি পার্টি ততই যেন চাপ বাড়ছে বিজেপির উপর। এসএমএস, বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের কৌশল বজায় রেখেও আপকে টেক্কা দেওয়া যাবে কী না তানিয়েও আলোচনা চলছে বিজেপির অন্দরে। বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে শুক্রবার আলোচনায় উঠেছে এ প্রসঙ্গও। চার রাজ্যে ভরাডুবির পর কংগ্রেসকে ততটা আমল দিচ্ছে না বিজেপি।

তবে কি আপের মোকাবিলা করাই বিজেপির কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ? সেটা অবশ্য সামনাসামনি স্বীকার করছেন না বিজেপি নেতারা। একক শক্তিতে সরকার গড়াই বিজেপির লক্ষ্য বলে জানিয়েও দিয়েছেন অনন্ত কুমার।

মুখে স্বীকার না করলেও আপের উত্থান যে বিজেপির চিন্তা বাড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দিনকয়েক আগেই সতর্ক করেছিল আর এসএস। আপকে হালকাভাবে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল । সে পরামর্শ মাথায় রেখে কতটা মোকাবিলা করতে পারে তা সময় বলবে।

.