একজন হিন্দু কখনও জঙ্গি হতে পারে না : অমিত শাহ
অমিত শাহর অভিযোগ, কিন্তু কংগ্রেস প্রজ্ঞাকে জঙ্গি বলে অভিযুক্ত করছে। তাই তাঁকে (প্রজ্ঞা) প্রার্থী করে বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহের রাস্তা নিল বলেই অমিত শাহ দাবি করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের সমর্থনে এবার মুখ খুললেন স্বয়ং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। স্পষ্টভাবে তিনি জানিয়ে দিলেন, একজন হিন্দু কখনও জঙ্গি হতে পারে না।
সাধ্বী প্রজ্ঞা মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত। তিনি আপাতত জামিনে মুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা চলছে। তাঁকেই এবার মধ্যপ্রদেশের ভোপাল লোকসভা আসন থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: বাবরি মসজিদ ভেঙেছি, ওখানেই তৈরি হবে রামমন্দির, ফের প্রজ্ঞার বিতর্কিত মন্তব্যে নোটিস কমিশনের
কিন্তু তাঁর প্রার্থীপদ নিয়ে হইচই শুরু করেছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, একজন জঙ্গিকে কীভাবে প্রার্থী করল বিজেপি। মঙ্গলবার বিরোধীদের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই মুখ খোলেন অমিত শাহ।
তিনি বলেন, “একজন হিন্দু কখনও জঙ্গি হতে পারে না। কারণ, হিন্দুধর্ম কাউকে আঘাত করার কথা শেখায় না।” অমিত শাহর অভিযোগ, কিন্তু কংগ্রেস প্রজ্ঞাকে জঙ্গি বলে অভিযুক্ত করছে। তাই তাঁকে (প্রজ্ঞা) প্রার্থী করে বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহের রাস্তা নিল বলেই অমিত শাহ দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: ২৬/১১ হামলায় শহিদ কারকারেকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, প্রজ্ঞাকে নোটিস নির্বাচন কমিশনের
একই সঙ্গে তিনি ভোপালে কংগ্রেসের প্রার্থী দ্বিগ্বিজয় সিংয়ের দিকে তোপ দেগেছেন। তাঁর বক্তব্য, মধ্যপ্রদেশের মানুষই ডিগ্গি রাজা (দ্বিগ্বিজয়)-কে জবাব দেবেন। কারণ, দ্বিগ্বিজয়ই সবসময় হিন্দু সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ তুলে সরব হন। সেটারই জবাব তাঁর বিরুদ্ধে ইভিএমে পড়বে বলে অমিত শাহর দাবি।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণেই অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা। তিনি এখন জামিনে মুক্ত। তবে তাঁর বিরুদ্ধে মকোকা আইন প্রত্যাহার করে নিয়েছে এনআইএ। ভোটের মুখে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তার পরই ভোপাল থেকে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ক্ষমা চেয়ে শহিদ হেমন্তকে নিয়ে নিজের মন্তব্য ফেরালেন সাধ্বী প্রজ্ঞা
তাঁর নাম ঘোষণার পর থেকেই বিতর্ক ছড়িয়েছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত একজনকে বিজেপি কীভাবে প্রার্থী করে? যদিও সন্ত্রাসের অভিযোগ মানতে নারাজ প্রজ্ঞা। তাঁকে জোর করে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
প্রার্থী হওয়ার পর সাধ্বীও বিতর্ক বাড়িয়েছেন। প্রথমে জেলে থাকা অবস্থায় তাঁর উপর পুলিসি অত্যাচারের অভিযোগ তুলে তিনি সরব হন। কর্মীদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরদিন ওই একই সঙ্গে বলতে গিয়ে মহারাষ্ট্র অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের প্রধান হেমন্ত কারকারেকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: শহিদ হেমন্তকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, সাধ্বী প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ
সাধ্বী দাবি করেন, তাঁর অভিশাপেই জঙ্গিদের হাতে নিহত হন কারকারে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে মুম্বইয়ে হওয়া জঙ্গি হামলা রুখতে গিয়ে শহিদ হয়েছিলেন কারকারে। পরে অবশ্য ওই মন্তব্য তিনি ফিরিয়ে নেন। ক্ষমাও চান।