মাঝ যমুনায় নৌকাডুবি, প্রায় ৪০ জনের মৃত্যুর শঙ্কা
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জেলা প্রশাসনকে অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর নির্দেশ দিয়েছেন। দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ডিআইজি, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-এর দলকে অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্ঘটনায় আহতদের যথাযথ চিকিৎসারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বান্দায় যমুনা নদীতে বড় দুর্ঘটনা। রাখিবন্ধন উৎসব উপলক্ষে অসোথর থানা এলাকার রামনগর কাউহান যমুনা ঘাট থেকে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি যাত্রী ভর্তি নৌকা, মাঝ নদীতে স্রোতে ডুবে যায়। নৌকায় থাকা অর্ধ শতাধিক মানুষ এবং প্রায় ১৫টি মটসাইকেল ডুবে যায়। যমুনা বন্দরে মার্কা থানার ফোর্স এসে পৌঁছেছে। বহু মানুষ এলাকায় জড় হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত নৌকার মাঝিদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নৌকাটি মার্কা ঘাট থেকে ফতেহপুরের দিকে যাওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, মহিলা যাত্রীরা রাখি বন্ধন উদযাপন করতে বাড়ি যাচ্ছিলেন।
নদীর মাঝখানে পৌঁছতেই নৌকার বাঁক ভেঙ্গে জল ভরে যায় নৌকায়। নৌকা ডুবির আশঙ্কা দেখে শুরুতেই কয়েকজন মানুষ যারা সাঁতার জানেন তাঁরা নদীতে ঝাঁপ দেন। এই সময় পুরো নৌকাটি নদীতে তলিয়ে যায়। ঢেউয়ের ধাক্কায় নৌকায় থাকা নারী ও শিশুরা নিখোঁজ হয়। ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন নৌকাটিকে ডুবতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। এরপরেই নদীতে ডুবুরি নামান হয় লোকজনকে বাঁচাতে।
ডুবুরিরা মাঝ নদীতে পৌঁছে কিছু লোককে বাঁচাতে পারে। অনেকেই নদী থেকে সাঁতরে বেরিয়ে আসে। তবে নৌকায় থাকা নারী ও শিশুসহ প্রায় ৩০-৪০ জন নিখোঁজ হন।
আশেপাশের গ্রামের ডুবুরিরা নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে এবং দুই নারী ও এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এখনও তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিস এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘাটে পৌঁছে জাল ফেলে উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বান্দা জেলায় নৌকা দুর্ঘটনার বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষকে নদী থেকে উদ্ধার করে যথাযথ চিকিৎসা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: SCO Summit 2022: ৬ বছরে প্রথম বৈঠক ভারত-পাকিস্তানের! জানুন কোথায়...
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জেলা প্রশাসনকে অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর নির্দেশ দিয়েছেন। দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ডিআইজি, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-এর দলকে অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্ঘটনায় আহতদের যথাযথ চিকিৎসারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুলিস তাঁর বয়ানে জানিয়েছে, ‘যমুনা নদীতে ফতেহপুর থেকে মার্কা গ্রামে যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার সময় একটি নৌকা ডুবে গিয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নৌকায় কতজন উপস্থিত ছিলেন তা শনাক্ত করা যায়নি। অনুসন্ধান চলছে।’