ইউপিএ জমানায় ৯০০০ ফোন কলে আড়িপাতা হয়েছিল, চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই ছাড়পত্র নিয়ে উত্তাল দেশ। মোদী পুলিস-রাষ্ট্র তৈরির চেষ্টায় বলে অভিযোগ করেছেন রাহুল গান্ধী।

Updated By: Dec 23, 2018, 12:00 AM IST
ইউপিএ জমানায় ৯০০০ ফোন কলে আড়িপাতা হয়েছিল, চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যক্তিগত কম্পিউটারে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে নজরদারির ছাড়পত্র ঘিরে তুমুল তরজা।  মোদী পুলিস রাষ্ট্র তৈরি করছেন, টুইটারে তোপ দেগেছেন রাহুল গান্ধী।কিন্তু তথ্য জানার অধিকার আইনে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ব্যক্তিগত পরিসরে নজরদারি চালাত ইউপিএ সরকার। 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই ছাড়পত্র নিয়ে উত্তাল দেশ। মোদী পুলিস-রাষ্ট্র তৈরির চেষ্টায় বলে অভিযোগ করেছেন রাহুল গান্ধী। টুইটারে রাহুল লেখেন, পুলিস রাষ্ট্র তৈরি করে ফেললেই মোদীজির সমস্যার সমাধান হবে না। বরং তিনি যে কতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা একনায়ক তা এই পদক্ষেপে দেশবাসী বুঝতে পারছেন। তথ্যের অধিকার আইনে  পরিসংখ্যান বলছে, ব্যক্তিগত পরিসরে নজরদারি এই প্রথম নয়। ২০১৩ সালের একটি আরটিআই অনুযায়ী, ব্যক্তিগত পরিসরে নজরদারি ইউপিএ জমানাতেও হয়েছে। ২০০৯ সালে প্রতিমাসে প্রতিমাসে গড়ে ৭৫০০ থেকে ৯০০০ ফোনে নজরদারির নির্দেশ দিত কেন্দ্র। মাসে ৩০০ থেকে ৫০০ ই-মেলে নজরদারির নির্দেশ আসত।

কারা করত নজরদারি? সেই তালিকাও দিয়েছে এই RTI। তার মধ্যে রয়েছে, ইনটেলিজেন্স ব্যুরো, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, ইডি, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস, এনআইএ। আরটিআই আরও বলছে, ১৯৮৫ সালের টেলিগ্রাফ অ্যাক্ট এবং ২০০৭ সালের সংশোধিত টেলিগ্রাফ রুল মেনেই চলতো নজরদারি। আর এবার লোকসভা ভোটের মুখে মোদী সরকারের আড়িপাতার ছাড়পত্র ঘিরে যুদ্ধের দামামা বেজেছে। কেন্দ্র কিন্তু বলছে, ইউপিএ আমলে তৈরি তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিধি মেনেই নর্থ ব্লক পদক্ষেপ করেছে। 

আরও পড়ুন- নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করতে গিয়ে 'মহাভারত' কথা ইয়েচুরির মুখে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে, কম্পিউটারের ওপরে নজরদারি চালাতে পারবে আইবি, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট, সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডাইরেক্ট ট্যাক্স, ডাইরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স, সিবিআই, এনআইএ, র, ডাইরেক্টরেট অব সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স, দিল্লির পুলিস কমিশনার যে কারও কম্পিউটারের ওপরে নজরদারি চালাতে পারে। রাজ্যসভায় বিরোধীদের বিতণ্ডার মাঝে শুক্রবার জেটলি দাবি করেন, ২০০৯ সালে মনমোহন সিং জমানার নির্দেশিকাটি ফের জারি করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে খেলছে কংগ্রেস। অযথা তিলকে তাল করছে তারা। জেটলির দাবি মিথ্যা বলে পাল্টা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,''অরুণ জেটলি ঠিক বলছেন না। ২০০৯ সালে আলাদা পরিস্থিতি ছিল। আমরা এখন পরাধীন হচ্ছি''।   

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই এমনটা করা হয়েছে। আইনটি তৈরি হয়েছিল ২০০৯ সালে মনমোহন সিং জমানায়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নজরদারির অনুমতি দেবেন স্বরাষ্ট্রসচিব।

 

 

.