Punjab: বিছানা থেকে ওঠার ক্ষমতা নেই, মৃত ছেলের সঙ্গেই সহ-বাস বৃদ্ধ বাবার!
দু্র্গন্ধ পেয়ে থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। ঘরের দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে পুলিস। কথা বলার মতো অবস্থায় নেই ওই বৃদ্ধ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ডেস্ক: মর্মান্তিক! বিছানা থেকে ওঠার ক্ষমতাটুকুও নেই। ৪ দিন ধরে মৃত ছেলের সঙ্গে এক ঘরে থাকলেন বাবা! দুর্গন্ধ পেয়ে শেষপর্যন্ত থানায় খবর দিলেন প্রতিবেশীরা। দরজা ভেঙে ঘর থেকে যখন দেহ উদ্ধার করল পুলিস, তখন কথার বলার মতো অবস্থায়ও ছিলেন না বিরাশি বছরের ওই বৃদ্ধ। ঘটনাস্থল, পঞ্জাবের মোহালি শহর।
জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধের নাম বলবন্ত সিং। অবসরপ্রাপ্তপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী তিনি। বিএসএনএলে চাকরি করতেন। মোহালি শহরের ফেস ওয়ান এলাকায় থাকেন বলবন্ত। সন্তান নেই, স্ত্রীও প্রয়াত। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মাত্র তিন বছর বয়সে বোনের ছেলে সুখবিন্দরকে দত্তক নিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। বাবা-ছেলে একসঙ্গে থাকতেন। গত কয়েক দিন ধরেই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। প্রথমে বিষয়টিকে তেমন আমল দেননি তাঁরা। এরপর খবর দেওয়া হয় বলবন্তের ভগ্নিপতি কমলপ্রীতকে। বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল। বাইরে থেকে বেশ কয়েকবার দরজায় ধাক্কা দেন কমলপ্রীত। এমনকী, ডাকাডাকিও করেন। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: Crime In India: প্রতি ২০ মিনিটে ১ ধর্ষণ, প্রতি ঘণ্টায় তিনটে খুন! ভয়ংকর ভারত...
কেন? থানায় খবর দেন কমলপ্রীত ও প্রতিবেশীরা। দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢোকে পুলিস। তারপর? দেখা যায়, একটি ঘরে পাশাপাশি দুটি বিছানা। একটিতে শুয়ে রয়েছেন বলবন্ত, আর পাশের খাটে নিথর হয়ে পড়ে রয়েছেন সুখবিন্দর। দেহে পচন ধরেছে! পুলিস সূত্রের খবর, বলবন্তের কথা বলার ক্ষমতা নেই। ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ তিনি। যা জিজ্ঞেস করা হচ্ছে, 'হ্যাঁ' কিংবা 'না'-এ জবাব দিচ্ছেন। সুখবিন্দরের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর বাবা ভর্তি হাসপাতালে। তদন্তকারী অফিসার পল সিং জানিয়েছে, 'ময়নাতদন্তের পর সুখবিন্দর সিংহের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে মনে হচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই মারা গিয়েছেন তিনি। বলবন্ত সিং বয়ান দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই'।
আরও পড়ুন: বিশ্বের ধনকুবেরদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে গৌতম আদানি, হারালেন বিশ্বখ্যাত সংস্থা লুই ভিউটোঁ প্রধানকেও
এদিকে কয়েক মাস আগে নদিয়ায় ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক বৃদ্ধের কঙ্কাল। কীভাবে? মৃতের নাম মন্দিরা দাস। নদিয়ার ধুবুলিয়া বাজারে একটি পুরনো বাড়ি আলাদা ঘরে মেয়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। প্রতিবেশীদের দাবি, ৬-৭ মাস আগে শেষবার ওই বৃদ্ধাকে শেষবার দেখেছিলেন তাঁরা। মেয়ে দোলা মানসিকভাবে সুস্থ নন। এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরির পর রাতে বাড়ি এসে ঘুমিয়ে পড়তেন। সবসময় বন্ধ থাকত বাড়ির দরজা-জানলা। এমনকী, মায়ের মৃত্যুর খবরও পাড়া-প্রতিবেশী বা আত্মীয়দের জানাননি মেয়ে! ঘটনার দিন সকাল খোঁজখবর নিয়ে বাড়িতে আসেন এক আত্মীয়া। মন্দিরারও খোঁজ করেন তিনি। তখন নাকি দোলা বলেন, ওই বৃদ্ধার বাড়িতে নেই! সন্দেহ হওয়ায় জোর করেই বাড়ির অন্য ঘরে ঢোকেন ওই আত্মীয়। দেখেন, বিছানায় পড়়ে রয়েছে কঙ্কাল! এরপর খবর দেওয়া হয় থানায়।