দেশের ৮০ শতাংশ করোনা ১০ রাজ্যে, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে জানালেন প্রধানমন্ত্রী
এদিন বৈঠকের শুরুতে রাজ্যগুলির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি রাজ্যই করোনার কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে করোনা মোকাবিলায় এই প্রতিটি রাজ্যেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত ১০টি রাজ্যের উপর জোর দিতে হবে। তবেই ভারত করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হবে। মঙ্গলবার দেশের সবচেয়ে করোনা আক্রান্ত দশটি রাজ্যের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে এমনটাই জানান তিনি।
আজকের বৈঠকে যোগ দেন মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা বিহার, গুজরাট এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীরা। কর্ণাটকের প্রধানমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা অতি সম্প্রতি করোনা মুক্ত হওয়ায় তিনি এদিন বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। তাঁর বদলে যোগ দেন কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন বৈঠকের শুরুতে রাজ্যগুলির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি রাজ্যই করোনার কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে করোনা মোকাবিলায় এই প্রতিটি রাজ্যেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন যে মৃত্যুর হার একদিকে কমছে ও উল্টো দিকে ক্রমেই বাড়ছে সুস্থতার হার। ফলে সঠিক দিশায় যে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চলছে, সে বিষয়ে তিনি আশাবাদী বলে জানান।
করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে 'ব্যাক-টু-বেসিক্স' কিছু জিনিস এদিন আবারও মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। মনে করিয়ে দিলেন করোনা মোকাবিলায় টেস্টিংয়ের গুরুত্ব। "বিশেষজ্ঞদের মতে সংক্রমণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যদি কারও করোনা ধরে ফেলা যায়, সেক্ষেত্রে তার অজান্তে করোনা ছড়ানোর বিষয়টি রোধ করা সম্ভব। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সম্প্রতি যাঁদের যাঁদের সঙ্গে সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদেরও ৩ দিনের মধ্যে খুঁজে টেস্ট করানো প্রয়োজন," মুখ্যমন্ত্রীদের জন্য সাজেশন দেন নমো।
করোনা পরিস্থিতিতে ভারতে এই দশ রাজ্যের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মোদী বলেন, এই রাজ্যগুলি থেকেই দেশের ৮০ শতাংশ করোনা সংক্রমণ ঘটছে। ফলে করোনা মোকাবিলায় এই রাজ্যগুলির দায়িত্ব অপরিসীম। দেশের ৬ লক্ষ অ্যাক্টিভ কেসের মধ্যে বেশিরভাগই এই ১০ রাজ্যের।
কিন্তু কীভাবে হবে মোকাবিলা? সে প্রসঙ্গে কী করা যেতে পারে তার একটি উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, "উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও দিল্লির কিছু জেলায় একটা সময়ে করোনা খুব তাড়াতাড়ি বাড়ছিল। সেই সময়ে আমরা একটি বৈঠকের আয়োজন করি। একটি কমিটি গঠন করা হয় যার সভাপতি হন অমিত শাহ। এরপর প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনেকাংশেই সেখানে করোনা সংক্রমণ হ্রাস পেয়েছে।"
করোনা পরিস্থিতির পর এই নিয়ে এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রীদের সপ্তম ভিডিয়ো কনফারেন্স। আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও।
আরও পড়ুন : কলার তুলে জয়পুরে ফিরছেন সচিন, একরাশ ক্ষোভ নিয়ে জয়সলমির দৌড়লেন গেহলট