Manipur Violence: বয়স ১৯! মণিপুর গণধর্ষণ ও নগ্ন প্যারেডকাণ্ডে গ্রেফতার পঞ্চম অভিযুক্ত
ইতিমধ্যেই ন্যক্করজনক এই ঘটনায় মণিপুরের মুখ্যসচিব ও ডিজিপি-র কাছে রিপোর্ট চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এনএইচআরসি। তদন্তের অগ্রগতি-সহ নির্যাতিতাদের শারীরিক অবস্থা ও সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মণিপুরে ২ যুবতীকে গণধর্ষণ ও তাদেরকে নগ্ন করে হাঁটানোর ঘটনায় পঞ্চম অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ৪ মে ওই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালে পুলিস প্রথম অভিযুক্তকে ধরে। গ্রেফতার করে হুইরাম হেরোদাস মেইতি নামে ৩২ বছরের মূল অভিযুক্ত যুবককে। তারপর আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। এবার পুলিস গ্রেফতার করেছে ১৯ বছরের এক যুবককে। ধৃতের নাম নাংসিথোই মেতেই। এই নিয়ে মণিপুরের ভাইরাল ভিডিয়োকাণ্ডে মোট ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫।
প্রসঙ্গত, মণিপুরের ভাইরাল ভিডিয়োকাণ্ডে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। কাউকে ছাড়া হবে না বলে সংসদে অধিবেশন শুরুর আগেই কড়া বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মণিপুরে লাগাতার হিংসা চললেও, কেন প্রধানমন্ত্রী মুখ খুলছেন না, তাই নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। তারপরই অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে এবং চরম পদক্ষেপ করা হবে বলে কড়া বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে মণিপুর নিয়ে মুখ খুলে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "আমি জাতিকে আশ্বস্ত করতে চাই। কোনও অপরাধীকে রেহাই দেওয়া হবে না। আইন সর্বশক্তিমান। আইন তার নিজের পথে চলবে। মণিপুরের মেয়েদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা কখনও ক্ষমা করা হবে না।" একইসঙ্গে মোদী জানান, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ইতিমধ্যেই ন্যক্করজনক এই ঘটনায় মণিপুরের মুখ্যসচিব ও ডিজিপি-র কাছে রিপোর্ট চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এনএইচআরসি। তদন্তের অগ্রগতি-সহ নির্যাতিতাদের শারীরিক অবস্থা ও সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটি গত ৪ মে তোলা হয়েছিল। তার ঠিক আগের দিন থেকেই মণিপুরে দুই জনজাতি কুকি ও মেতেইদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। ভিডিয়োর দুই নির্যাতিতা কুকি সম্প্রদায়ভুক্ত বলেই জানা গিয়েছে। ৪ মে মণিপুরের কাংপোকপি জেলায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। ভিডিয়োয় দেখা যায়, ওই দুই মহিলা কেঁদে কেঁদে কার্যত প্রাণভিক্ষা করেন। কিন্তু তারপরেও তাঁদের কথায় কান দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, তাঁদের গণধর্ষণ করা হয়। গণধর্ষণের পর নগ্ন হাঁটানো হয়। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে পুলিস। ওদিকে গতকাল মূল অভিযুক্ত হুইরেম হেরোদাস মেতেইয়ের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা।
আরও পড়ুন, Manipur: আতঙ্ক! মণিপুরে এবার বাঁশের বেড়ার মাথায় টাঙানো কাটা মুন্ডু...