১৯৯৩ থেকে ২০১৬, কী কী হয়েছিল সঞ্জয় দত্ত কেসে

পুণের ইয়েরওয়াড়া জেল থেকে অবশেষে মুক্তি পেলেন বলিফড অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। ৪২ মাস জেলে কাটানোর পরে মুক্তি পেলেন তিনি। মুম্বই বিস্ফোরণের সময় বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়ে শাস্তির কোপে পড়েন বলিউড সুপারস্টার। কিন্তু, সংশোধনাগারে থাকার সময় ভালো আচরণের জন্য, মুন্নাভাইকে আগাম মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মহারাষ্ট্র সরকার। যদিও মুক্তির আগেই, এর বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে। অভিযোগ উঠেছে, সুপারস্টার হওয়ার সুবাদে সাজার মেয়াদ শেষের আগেই, মুক্তির জন্য তাঁকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার।

Updated By: Feb 25, 2016, 11:17 AM IST
১৯৯৩ থেকে ২০১৬, কী কী হয়েছিল সঞ্জয় দত্ত কেসে

ওয়েব ডেস্ক: পুণের ইয়েরওয়াড়া জেল থেকে অবশেষে মুক্তি পেলেন বলিফড অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। ৪২ মাস জেলে কাটানোর পরে মুক্তি পেলেন তিনি। মুম্বই বিস্ফোরণের সময় বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়ে শাস্তির কোপে পড়েন বলিউড সুপারস্টার। কিন্তু, সংশোধনাগারে থাকার সময় ভালো আচরণের জন্য, মুন্নাভাইকে আগাম মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মহারাষ্ট্র সরকার। যদিও মুক্তির আগেই, এর বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে। অভিযোগ উঠেছে, সুপারস্টার হওয়ার সুবাদে সাজার মেয়াদ শেষের আগেই, মুক্তির জন্য তাঁকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার।

মুম্বই বিস্ফোরণের সময় বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়ে ধরা পড়েন সঞ্জয়। টাডা আইনে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয়কে। ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১৬। মাঝের এই ২৩টা বছরে সঞ্জয় দত্ত কীভাবে কাটিয়েছেন, একনজরে দেখে নেওয়া যাক।

১২ মার্চ ১৯৯৩- মুম্বইয়ে বোমা বিষ্ফোরণে ২৫৭জন মারা যান। আর আহত হন ৭১৩জন।

১৯ এপ্রিল ১৯৯৩- একটি এ.কে.৫৬ রাইফেল, একটি ৯এমএম পিস্তল এবং গোলাবারুদ সঙ্গে রাখার অপরাধে ক্রাইম ব্রাঞ্চ মুম্বই এয়ারপোর্টে বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে গ্রেফতার করে।

২৮ এপ্রিল ১৯৯৩- সঞ্জয় দত্ত পুলিসের কাছে স্বীকার করেন যে, তাঁর কাছে অস্ত্র ছিল। যদিও তিনি তা নষ্ট করে ফেলেছেন।

৫ মে ১৯৯৩- মুম্বই হাইকোর্ট তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেয়।

৪ জুলাই ১৯৯৪- নিম্ন আদালত তাঁর জামিন বাতিল করার জন্য ফের তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

অক্টোবর ১৯৯৫- সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন সঞ্জয় দত্ত। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করে।

অক্টোবর ১৯৯৫- ১৫ মাস পর তাঁকে জেল থেকে ছাড়া হয়।

নভেম্বর ২০০৬- বেআইনি অস্ত্র রাখার আইনে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। এবং টাডা আইনে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

জুলাই ২০০৭- সঞ্জয় দত্তকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আগস্ট ২০০৭- সঞ্জয় দত্ত তাঁর শাস্তি চ্যালেঞ্জ করেন।

নভেম্বর ২০০৭- সুপ্রিম কোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করে।

নভেম্বর ২০১১- তাঁর বিরুদ্ধে আনা অপরাধের শুনানি শুরু হয়।

মার্চ ২০১৩- ৫ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট।

অক্টোবর ২০১৩- ১৪ দিনের প্যারোলে মুক্ত করা হয় তাঁকে। পায়ে চোট লাগার জন্য আরও ১৪ দিন প্যারোলে মুক্ত থাকেন তিনি।

ডিসেম্বর ২০১৩- স্ত্রী মান্যতার অসুস্থতার জন্য তাঁর প্যারোলের সময়সীমা আরও ২৮দিন বাড়ানো হয়।

আগস্ট ২০১৫- মেয়ের নাকে অপারেশনের জন্য ৩০ দিনের প্যারোল বেরোন সঞ্জয় দত্ত।

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬- পুণের ইয়েরওয়াড়া জেল থেকে অবশেষে মুক্তি পেলেন তিনি।

.