কারগিলের বিজয়-স্মৃতির যৌবনে পদার্পণ

Updated By: Jul 26, 2017, 05:20 PM IST
কারগিলের বিজয়-স্মৃতির যৌবনে পদার্পণ

ওয়েব ডেস্ক: "পাক শক্তিকে উচ্ছেদ করে সম্পূর্ণরূপে দখল মুক্ত হয়েছে কারগিল", সরকারিভাবে ঘোষণা হতেই খুশির জোয়ার আসমুদ্র হিমাচাল জুড়ে। আজ থেকে ঠিক ১৮ বছর আগে আজকের দিনেই পাক দখলদারিকে গুঁড়িয়ে দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের কারগিল জেলায় ত্রিবর্ণ উড়িয়েছিল ভারতের বীর সেনারা। আজ দেশ জুড়ে সেই 'বিজয় দিবসে'র যৌবনে পদার্পনের উদযাপন, গর্বের কারগিল দিবস। দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে আজ ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি সম্মান জানিয়েছেন কারগিল যুদ্ধে হত বীর জওয়ানদের। কিন্তু ১৮ বছর আগে ঠিক কী হয়েছিল কারগিলে যার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাধ্য হয়ে হাতে অস্ত্র তুলতে হয়েছিল ভারতকে?

১৯৯৯ সালের ৪ঠা মে সীমান্ত থেকে খবর আসে, নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করে জম্মু-কাশ্মীরের কারগিল জেলার দখল নিতে চেষ্টা চালাচ্ছে পাক সেনাপ্রধান পারভেজ মুশারফের বাহিনী। ক্ষোভে ফুঁসতে থাকা ভারত তখন নিজভূমকে রক্ষার তাগিদে কঠোর হয়। এরই মধ্যে ভারতের ছয় বীর সৈনিকের ছিন্নভিন্ন দেহ পাক বাহিনী ফেরত পাঠায় ভারতে। আর এতেই যেন আগুনে ঘি পড়ে, সম্পূর্ণ সামরিক সাজে সজ্জিত ভারতীয় বাহিনী আর অপেক্ষা করেনি পাকিস্তানকে শবক শেখাতে। শুরু হয় অপারেশন-বিজয়। প্রথম থেকেই যেন দৃঢ় ও প্রত্যয়ী ছিল ভারতীয় সেনা। অসম সাহসী যুদ্ধ চালিয়ে অচিরেই তাঁরা ফিরিয়ে আনেন ভূস্বর্গের এই জেলার বেদখল সব পোস্ট। পিছু হঠতে বাধ্য হয় দুর্বল ও কুঅভিসন্ধীতে ভরপুর পাকিস্তান। তৈরি হয় ইতিহাস। বিজয়ের ইতিহাস। গর্বের ইতিহাস। দখলদারি দুঁড়িয়ে দেওয়ার ইতিহাস। (আরও পড়ুন- টসে জেতা ঐতিহাসিক বাহনে সওয়ার ভারতীয় রাষ্ট্রপতির পরম্পরা)

.