চেন্নাইয়ে ডোর-টু-ডোর করোনা স্ক্রিনিং করবে তামিলনাড়ু সরকার, শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক

ইতিমধ্যেই চেন্নাইয়ে এ পর্যন্ত করোনায় ৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার তামিলনাড়ুতে আরও দু'জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছিল

Updated By: Apr 5, 2020, 05:29 PM IST
চেন্নাইয়ে ডোর-টু-ডোর করোনা স্ক্রিনিং করবে  তামিলনাড়ু সরকার, শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক
ছবি- টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমণ রোখার জন্য বড় পদক্ষেপ করল তামিলনাড়ু সরকার। করোনা রোখার তাগিদে আজ থেকে চেন্নাই জুড়ে ডোর-টু-ডোর স্ক্রিনিংয়ের জন্য ১৬ হাজার প্রশিক্ষিত কর্মী মোতায়েন করল সে রাজ্যের প্রশাসন।

প্রশিক্ষিত কর্মীদের সকলের কাছে থাকবে বিশেষ পোশাক বা পিপিই। তাঁরা চেন্নাইয়ের বিভিন্ন স্থানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রতিদিনের রিপোর্ট জমা দেবেন। মূলত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যুক্তদেরই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাঁদের সহায়তায় সরকার আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ১০ লক্ষ আবাসনের বাসিন্দাদের ওপর ২৪ ঘন্টা নজরদারি করার পরিকল্পনা করেছে।

তবে ঘরে ঘরে স্ক্রিনিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে একদমই সন্তুষ্ট নন কিছু বাসিন্দা। হংকংয়ের বেসরকারী কর্মী জন ডুলিপ বলেছেন, "আমরা যা তৈরি করছি তা হল  ঘরে ঘরে  ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাব্য উপায়। বয়স্ক মা-বাবার জন্য মোটেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি না।" চেন্নাইয়ে থাকেন তাঁর মা-বাবা।

ইতিমধ্যেই চেন্নাইয়ে এ পর্যন্ত করোনায় ৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার তামিলনাড়ুতে আরও দু'জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছিল। উভয়েরই দিল্লির তাবলিঘি  জামাতের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে।  শনিবার তাবলিঘি জামায়াতে অংশ নেওয়া আরও ৭৩ জন লোকের করোনা পরীক্ষায় পজেটিভ এসেছে। যার দরুন তামিলনাড়ুতে মোট করোনা আক্রান্ত ৪৮৫। সারা দেশের নিরিখে মহারাষ্ট্রের পরে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত তামিলনাড়ুতেই।

আরও পড়ুন- বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, প্রণব-সনিয়া-মমতার সঙ্গে ফোনে শলা-পরামর্শ নমোর

সে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব  বিলা রাজেশ বলেছেন, "তামিলনাড়ুর সন্দেহভাজনদের মধ্যে ৪৩৭ জন দিল্লির অংশগ্রহণকারী। মোট ১,৫০০ জন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে, সমস্ত ১,২০০ জনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাজ্য জুড়ে হাসপাতাল বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।"

মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী ইতিমধ্যে পর্যাপ্ত মাস্ক, কিট ও ভেন্টিলেটরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৯ হাজার কোটি টাকা সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন। এছাড়া তিনি ধর্মগুরুদের কাছে এই বিপদের সময় ধর্মীয় তরজা না করার আবেদন জানিয়েছেন। স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষগুলিকে  আপদকালীন সময়ে তাঁদের স্থানে আইসোলেশন সেন্টার গড়তে দেওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

.