স্কুলের নামের সামনে থাকবে না 'ইসলামিয়া' শব্দটি, নির্দেশ জারি করল যোগী সরকার
প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বালিয়া জেলায় 'ইসলামিয়া প্রাথমিক স্কুল' নামে ১৫টি স্কুল চলছে। কিন্তু স্কুলের নামের আগে 'ইসলামিয়া' শব্দটি ব্যবহারের কোনও অনুমোদন নেয়নি তারা। তাছাড়া স্কুলগুলি সংসদের নিয়ম অমান্য করে রবিবার খোলা থাকে। বদলে শুক্রবার স্কুল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তর প্রদেশের সরকারি স্কুলের নাম থেকে 'ইসলামিয়া' শব্দটি বাদ দিতে চলেছে যোগী সরকার। এমনটাই জানিয়েছে সেরাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদ সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৫টি প্রাথমিক স্কুলের নাম থেকে বাদ যাবে 'ইসলামিয়া' শব্দটি।
পূর্ব উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলায় একাধিক স্কুলের নামের সামনে রয়েছে 'ইসলামিয়া' শব্দটি। রবিবারের বদলে শুক্রবার ছুটি থাকে এই স্কুলগুলিতে। ছুটির দিনও বদলের ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বালিয়া জেলায় 'ইসলামিয়া প্রাথমিক স্কুল' নামে ১৫টি স্কুল চলছে। কিন্তু স্কুলের নামের আগে 'ইসলামিয়া' শব্দটি ব্যবহারের কোনও অনুমোদন নেয়নি তারা। তাছাড়া স্কুলগুলি সংসদের নিয়ম অমান্য করে রবিবার খোলা থাকে। বদলে শুক্রবার স্কুল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। যা আইনবিরুদ্ধ বলে দাবি ও আধিকারিকের।
চিন, চিকাগোর পর এবার দিল্লিতে বাতিল মমতার অনুষ্ঠান
বালিয়া জেলার প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক সন্তোষ কুমার রাই জানিয়েছেন, 'জেলায় ইসলামিয়া প্রাথমিক স্কুল নামে ১৫টি সরকারি স্কুল রয়েছে। শুরু থেকে এই নামেই চলছে স্কুলগুলি। কিন্তু সংসদের নিয়ম মেনে আমরা স্কুলের নামের সামনে থেকে ইসলামিয়া শব্দটি সরাতে বলেছি। উত্তর প্রদেশ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নিয়ম মেনেই চালাতে হবে ওই স্কুলগুলি।'
ক্ষমতায় আসার পর থেকে কখনো অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড, কখনো বেআইনি কসাইখানার নামে মুসলিমদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের অভিযোগ উঠেছে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে। ক্ষমতায় এসেই পথে মহিলাদের সুরক্ষার লক্ষ্যে অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড গড়ে উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকার। মূলত ইভ টিজারদের ধরতে এই বাহিনী গঠন করা হয় বলে দাবি করেন আধিকারিকরা। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, মুলসিম যুবকদের হেনস্থা করতেই তৈরি করা হয়েছে এই বাহিনী।
চপার দিয়ে কুপিয়ে খুন বিজেপি নেতা, অভিযোগের নিশানায় তৃণমূল
একই রকম ভাবে গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মেনে উত্তর প্রদেশে বেআইনি কসাইখানা বন্ধে উদ্যোগী হয় যোগী সরকার। গোটা রাজ্যজুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় বহু কসাইখানা। যার প্রায় সবক'টিরই মালিক মুসলিম। দাবি করা হয়, দূষণ ছড়াচ্ছে এই বেআইনি কসাইখানাগুলি। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে বিরোধীরা দাবি করে, আসলে নিরামিষ ভোজনের প্রথা চালু করতেই বন্ধ করা হচ্ছে কসাইখানা। হেনস্থা করা হচ্ছে মুসলিমদের। কেড়ে নেওয়া হচ্ছে তাঁদের রুটিরুজি।
যদিও যোগী সরকারের পালটা যুক্তি, কারও প্রতি কোনও আসক্তি বা বিযুক্তি সরিয়ে আইন মেনে কাজ করছে তারা।