পন্টি চাড্ডা হত্যাকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিস। গতকাল নিজেদের ফার্ম হাউসে একে অপরের গুলিতে প্রাণ হারান ভারতের লিকার ব্যারন পন্টি ওরফে গুরদীপ চাড্ডা ও তাঁর ভাই হরদীপ চাড্ডা। ঠিক কোন পরিস্থিতিতে তাঁরা পরস্পরকে গুলিবিদ্ধ করে তার তদন্তে নেমে দুজনেরই ফোনের কল রেকর্ডস খতিয়ে দেখছে পুলিস।
প্রাথমিক পর্যায়ের তদন্তের পর পুলিসের অনুমান বেশ কিছুদিন ধরেই হরদীপকে তাঁদের ফার্মহাউজ থেকে উত্খাত করার পরিকল্পনা করছিলেন পন্টি। সেই অনুযায়ী গতকাল সকালে পন্টির দলের লোকজন তাঁদের বিতর্কিত ফার্মহাউসে ঢুকে হরদীপের মালপত্র বাইরে বের করে দরজা লক করে দেয়। হরদীপ সেইসময় সেখানে ছিলেন না। নয়ডার একটি মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। এর কিছু সময় পর দুপুরের আগেই পন্টি ইউপি মাইনরিটি কমিশনের সদস্য তাঁর এক বন্ধুকে ফোন করে বলেন তিনি একবার ফার্মহাউস টহল দিতে চান। ইতিমধ্যেই পন্টির কাণ্ড কারখানার খবর পেয়ে মিটিং মাঝপথেই শেষ করে ফার্মহাউসে ছুটে আসেন হরদীপ।
পন্টি, তাঁর বন্ধু ও হরদীপ প্রায় একই সময় ফার্মহাউসে পৌঁছন বলে অনুমান পুলিসের। পাহারায় থাকা পন্টির লোকেরা দরজা খুলে দিলে হরদীপই প্রথম গুলি চালান। প্রথমে পন্টির গার্ড নরেন্দ্র ও পরে পন্টির গায়ে গুলি লাগে। এরপর উভয় পক্ষই গুলি চালাতে থাকে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় দুজনেরই। এর আগে গত ৫ অক্টোবরও চাড্ডাদের মোরাদাবাদের বাড়িতে গুলি চলার খবর মিলেছিল।
মৃত্যুর মতোই ঠিক হিন্দি ছবির স্ক্রিপ্ত মেনেই ছিল চাড্ডা ভাইদের জীবন। দেশি মদের দোকানের সামনে বাবার কুলওয়ন্ত সিং চাড্ডার সঙ্গে নোনতা খাবার বিক্রি করে ব্যবসায় হাতে খড়ি। চালচুলোর হিসেব ছিল না তখন। জীবন নাটকীয় মোড় নেয় যখন উত্তর প্রদেশের তৎকালীন মুলায়ম সিং যাদব সরকারের কাছ থেকে একটি মদের দোকানের লাইসেন্স বের করেন কুলওয়ন্ত। তার পর থেকে সারা উত্তর প্রদেশে একচেটিয়া মদের ব্যবসা করে চাড্ডা পরিবার। তবে মদের ব্যবসায় থেকে থাকেননি এঁরা। চিনি, পেপোর মিল, মাল্টিপ্লেক্স, রিয়ল এস্টেট থেকে ছবি প্রযোজনা। পুলিস সূত্রে খবর, পন্টি, হরদীপ ও রাজিন্দর তিন ভাইয়ের মিলিত সম্পত্তির পরিমান প্রায় ৬ হাজার কোটি।
`লিকার ব্যরন` হত্যাকাণ্ডে আটক ১৫