৯০ শতাংশ ভারতীয় মোদী বিরোধী, মত জাভেদ আখতারের
জয়রাম রমেশের পর এবার জাভেদ আখতারের নিশানায় নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ও প্রখ্যাত কবি। তাঁর মন্তব্য, ৯০ শতাংশ ভারতবাসীই মোদী বিরোধী। এইসব সমালোচনাকে সঙ্গী করেই আজ ছত্তিসগড়ে নির্বাচনী প্রচার সেরে ফেললেন বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী।
জয়রাম রমেশের পর এবার জাভেদ আখতারের নিশানায় নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ও প্রখ্যাত কবি। তাঁর মন্তব্য, ৯০ শতাংশ ভারতবাসীই মোদী বিরোধী। এইসব সমালোচনাকে সঙ্গী করেই আজ ছত্তিসগড়ে নির্বাচনী প্রচার সেরে ফেললেন বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী।
জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নরেন্দ্র মোদী। বুধবার মোদীর উত্থানকে জার্মানিতে নাত্সি বাহিনীর ক্ষমতায় আসার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। বৃহস্পতিবার মুখ খুললেন রাজ্যসভার সাংসদ ও প্রখ্যাত কবি জাভেদ আখতার। সোস্যাল নেটওয়ার্কি সাইট টুইট্যারে আখতার লিখেছেন, "কিছু নির্বোধ মনে করে মোদীর বিরোধিতা করা মানে দেশদ্রোহিতা । এদের কথানুযায়ী, নব্বই শতাংশ ভারতবাসীই তার মানে দেশদ্রোহী।"
জাভেদ আখতারের মোদী বিরোধিতা অবশ্য এই প্রথম নয়। গতমাসে পাটনার একটি স্কুলে প্রথম বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন জাভেদ আখতার। মোদীকে অগণতান্ত্রিক অ্যাখা দিয়ে আখতার বলেছিলেন, কোনওদিনই দেশের যোগ্য প্রধানমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারবেন না মোদী। এরপর থেকে মোদী অনুরাগীদের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন জাভেদ আখতার। বারে বারে তাঁকে মোদী অনুরাগীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে। জাভেদ আখতার যখন মোদীকে নিশানা করেছেন তখন পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীও, তবে তাঁর নিশানায় নীতীশকুমার। ছত্তিসগড়ের জাগদালপুরে নির্বাচনী সভায় রমণ সিং ও নীতীশকুমারের মধ্যে তুলনা টেনে মোদীর মন্তব্য, নীতীশের সরকার অসংবেদনশীল।
মোদী সভা করেছেন ছত্তিশগড়ের কাঁঙ্কেরেও। কাঁঙ্কেরের সভায় বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বিঁধেছেন কংগ্রেসকেও। নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই কংগ্রেস-বিজেপি চাপানউতোর তুঙ্গে। বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে এসপিজি নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।তবে, এদিন তাঁর জনসভায় নিরাপত্তার কোনও ফাঁক রাখেনি রমন সিং সরকার।নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল ছত্তিসগড়ের বিভিন্ন এলাকা। জাগদালপুর ও কাঁঙ্করে ব্যবস্থা করা হয়েছিল মেটাল ডিটেক্টরের। পুলিস কুকুর দিয়ে তল্লাসি চালানো হয় সভাচত্বরে।দু জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে পঞ্চাশ কেজি আইইডি। বৃহস্পতিবার ছত্তিসগড়ে নির্বাচনী সভা করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও।