Zero Rupee Note: শূন্য টাকার নোট! হাতে পেয়েছেন আপনি একটাও?
দুর্নীতির বিরুদ্ধে তৈরি এই নোটে অনেক বার্তা লেখা ছিল
নিজস্ব প্রতিবেদন: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) এক টাকা থেকে দুহাজার টাকার নোট ছাপায়। সাধারন মানুষ দৈনন্দিন জীবনে সব কাজ করেন এই নোটগুলি ব্যাবহার করে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে দেশে শূন্য (০) টাকার নোটও ছাপা হয়েছিল?
এই শূন্য টাকার নোটে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ছবিও ছাপা হয়েছে এবং এটি দেখতে হুবহু অন্যান্য নোটের মতোই। কিন্তু কেন চালু হল শূন্য টাকার নোট? এই নোট কী ব্যবহার করা যায়? আসলে এই নোটটি আরবিআই বানায়নি। দুর্নীতিবিরোধী একটি অভিযানের সময় এটি তৈরি হয়।
এই নোট একটি সংস্থা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসাবে বানায়। ২০০৭ সালে দক্ষিণ ভারতের একটি এনজিও-র প্রথম এই ভাবনা শুরু করে। তামিলনাড়ুর পঞ্চম স্তম্ভ নামের এই এনজিও প্রায় পাঁচ লাখ শূন্য টাকার নোট ছাপায়। এই নোটগুলি হিন্দি, তেলেগু, কন্নড় এবং মালায়ালাম এই চারটি ভাষায় মুদ্রিত হয় এবং মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: Most Ordered Food of 2021: ১ মিনিটে ১১৫ প্লেট বিরিয়ানির অর্ডার, ভারতীয়দের সবচেয়ে পছন্দের ডিশ
দুর্নীতির বিরুদ্ধে তৈরি এই নোটে অনেক বার্তা লেখা ছিল। এই বার্তাগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল 'দুর্নীতির অবসান', 'কেউ ঘুষ চাইলে এই নোটটি দিয়ে আমাদের বিষয়টি বলুন', 'আমি এটা নেব না বলে শপথ করছি।' এই শূন্য টাকার নোটে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ছবিও ছাপা হয় এবং নোটের নীচে ডান পাশে প্রতিষ্ঠানের ফোন নম্বর ও ইমেল আইডি ছাপা হয়।
শুধুমাত্র '৫ম পিলার' নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই শূন্য টাকার নোট তৈরি করে। যারা ঘুষ চাইত তাদের দিয়ে দিত এই নোট। এই নোট ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানের প্রতীক। তামিলনাড়ুর অনেক জেলায় এই প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্র ছিল। এর সদর দপ্তর চেন্নাইতে। এছাড়াও বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, দিল্লি এবং রাজস্থানের পালিতেও এর কেন্দ্র রয়েছে।