স্বাস্থ্যকর্মীকেই নিজের ছেলে ভেবে তাঁর কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন করোনায় আক্রান্ত বৃদ্ধা!
বৃদ্ধা হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মীকে নিজের ছেলে ভেবে বসেন। ওই স্বাস্থ্যকর্মীও বিষয়টি বুঝে তাঁকে ওষুধপত্র খাইয়ে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হালপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতি, দুর্নীতির অভিযোগে বার বার একাধিক খবর হয়েছে। হাসপাতাল ভাঙচুর থেকে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনাও বহুবার নজরে এসেছে। কিন্তু করোনা আতঙ্কের আবহে এ ছবিটাই যেন বদলে গিয়েছে অনেকটাই। আতঙ্কিত মানুষের কাছে ‘জীবন্ত ঈশ্বর’ হয়ে উঠেছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তেমনই একটি মানবিক দৃশ্য এখন ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। প্রশংসা কুড়োচ্ছে হাজার হাজার ঘরবন্দি মানুষের।
মাথা থেকে পা পর্যন্ত পিপিই-তে ঢাকা এক স্বাস্থ্যকর্মীর কোলে মাথা রেখে ঘুমোচ্ছেন এক বৃদ্ধা। পরম যত্নে তাঁকে ঘুম পাড়াতে ব্যস্ত ওই স্বাস্থ্যকর্মীও। বিছানায় নয়, দু’জনেই হাসপাতালের মেঝেতে! ব্যাপার কী! করোনা আক্রান্ত রোগীর ভীড়ে হাসপাতালে কি বেড কম পড়েছে? না হলে এই বৃদ্ধাকে এ ভাবে মেঝেতে শুইয়ে ঘুম পাড়াচ্ছেন কেন ওই স্বাস্থ্যকর্মী?
আসলে করোনায় আক্রান্ত ওই বৃদ্ধা বেশ কয়েক বছর ধরেই অ্যালঝাইমার্সে ভুগছেন। মনে রাখতে পারেন না নিজের বাড়ির লোক জনকেও। তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়ে ক’দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যে দিনের এই দৃশ্য এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, ওই দিন বৃদ্ধা হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মীকে নিজের ছেলে ভেবে বসেন। ওই স্বাস্থ্যকর্মীও বিষয়টি বুঝে তাঁকে ওষুধপত্র খাইয়ে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে। একটা সময় বৃদ্ধা ওই স্বাস্থ্যকর্মীর কোলেই মাথা রেখেই ঘুমিয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: লকডাউনে সন্তানের হাতে মোবাইল ফোন নয়, খেলার ছলে শরীরচর্চায় ব্যস্ত রাখুন ওদের
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ইরানের একটি হাসপাতালে। ওই বৃদ্ধার নাম মাম্মা কোবরা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অ্যালঝাইমার্সে ভুগছেন। আর যে স্বাস্থ্যকর্মী বৃদ্ধাকে ঘুম পাড়াচ্ছিলেন, তাঁর নাম জাভেদ নেসা। শনিবারের ওই ঘটনা নজর কেড়েছে হাজার হাজার মানুষের। জাভেদকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে তাঁর উত্তর, ‘উনিআমার মায়ের মতোই। আমার মায়ের এমন অবস্থা হলে আমি যা করতাম, ওনার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই করেছি।’