আজ পাতে ফিরুক জিভে জল আনা লাউ-চিংড়ি
আমাদের ছেলেবেলার মাছের ঝালে-ঝোলে-অম্বলের মুখরোচক বিভিন্ন পদ, চচ্চড়ি, তরকারি— সবই প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে।
আজকাল ফাস্ট ফুডের জামানায় পিজ্জা-বার্গার-চিকেন ফ্রাইয়ের ভিড়ে যেন হারিয়েই গিয়েছে বাঙালি হেঁসেলের চিরায়ত খাবারগুলো। আমাদের ছেলেবেলার মাছের ঝালে-ঝোলে-অম্বলের মুখরোচক বিভিন্ন পদ, চচ্চড়ি, তরকারি— সবই প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। এখন পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, মানুষ রেস্তোরাঁর বিভিন্ন মুখরোচক পদের রেসিপি জেনে নিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলছেন যখন তখন। আর নামী-দামি রেস্তোরাঁগুলো দিনে দিনে হারিয়ে যেতে বসা তৃপ্তীদায়ক নিতান্ত ঘরোয়া পদগুলো বানিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছে দৈনন্দিন ব্যস্ততায় ঘরের খাবারের স্বাদ ভুলে যাওয়া মানুষগুলোর পাতে। আজ রইল তেমনই একটা চিংড়ির জিভে জল আনা পদ লাউ-চিংড়ি।
আরও পড়ুন: আজ পাতে ফিরুক ছেলেবেলার মৌরলা মাছের চচ্চড়ি
লাউ-চিংড়ি বানাতে লাগবে:—
১ কেজি কচি লাউ ছোট ছোট টুকরো করে কাটা
ছোট বা মাঝারি মাপের চিংড়ি ২০০ গ্রাম (চিংড়ির খোসা ছাড়িয়ে নিতে পারেন বা খোসা-সহ রাখতে পারেন)
হলুদ-লঙ্কাগুঁড়ো-ধনেগুঁড়ো মিলিয়ে ২ চা চামচ,
পেঁয়াজ বাটা ২ চা চামচ,
রসুন বাটা ১ চা চামচ,
আদা বাটা আধা চা চামচ,
নুন স্বাদমতো,
তেল ২ টেবিল চামচ,
টমেটো কুচি আধা কাপ,
ধনেপাতা কুচি সামান্য,
দুধ আধা কাপ,
কাঁচালঙ্কা কয়েকটা (স্বাদমতো)।
আরও পড়ুন: দুপুর হোক বা রাত, পটলের দোপেঁয়াজায় জমে উঠুক পাত
লাউ-চিংড়ি বানানোর পদ্ধতি:—
লাউ-চিংড়ির ঝোল সুস্বাদু করার কৌশল হচ্ছে মশলা যত কম দেয়া যায় ততই ভাল।
প্রথমে কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ, রসুন, আদা বাটা ও গুঁড়া মশলাগুলো দিয়ে কষিয়ে নিন।
বাটা ও গুঁড়া মশলাগুলো দিয়ে কষিয়ে নেওয়ার পর চিংড়ি আর টমেটো টুকরো দিয়ে আবার কষিয়ে নিন।
মশলা ভুনা হয়ে এলে এতে লাউ দিয়ে ২ কাপ গরম জল দিন। নুন ছড়িয়ে দিয়ে নেড়ে ১৫-২০ মিনিট রান্না করুন।
এবার রান্নায় দুধ দিয়ে সামান্য চিনি ছড়িয়ে দিন। কাঁচালঙ্কা লম্বা লম্বা ফালি, ধনেপাতা কুচি ছিটিয়ে দিয়ে আরও ১০-১৫ মিনিট রান্না করুন, লাউ সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত।
ব্যস, এবার আঁচ থেকে নামিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন মুখরোচক লাউ-চিংড়ি।