জামাইষষ্ঠীতে ঘরেই বানিয়ে ফেলুন রসগোল্লা!

রসগোল্লা বাংলার নিজস্ব উৎপাদন। জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন-ও স্বীকৃতি দিয়েছে রসগোল্লার বাঙালিয়ানায়। জামাইষষ্ঠীতে আর দোকানে নয়, এবার ঘরেই বানিয়ে নিন রসগোল্লা।

Updated By: Jun 17, 2018, 01:50 PM IST
জামাইষষ্ঠীতে ঘরেই বানিয়ে ফেলুন রসগোল্লা!

রসগোল্লা বললেই দুনিয়ার যে কোনও প্রান্তে থাকা মানুষ দু’টো জিনিসই ভাবতে পারেন! এক, বাঙালি আর দুই, কলকাতা। একটা মিস্টি যখন একটা গোটা জাতীর, একটা শহরের পরিচিতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখন তার মধ্যে নিশ্চয়ই একটা বিশেষত্ব রয়েছে...এটা মানতেই হবে। সাম্প্রতিক কালে ওড়িশাকে হারিয়ে রসগোল্লার জিআই রেজিস্ট্রেশন-ও পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ভোজনরসিক বাঙালিরা তো দেশি-বিদেশি কত রকমের রান্না শিখে নিয়েছেন অনায়াসে! তাহলে রসগোল্লা খেতে মিস্টির দোকানের উপর এখনও ভরসা করবেন কেন? চলুন, আজ শিখে নেওয়া যাক রসগোল্লা বানানোর সহজ কৌশল।

আরও পড়ুন: বৃষ্টিভেজা দিনে জমিয়ে খান ভুনা খিচুড়ি

রসগোল্লা বানাতে লাগবে:

২ লিটার দুধ।

৪ চামচ লেবুর রস।

৬-৭ কাপ জল।

সাড়ে ৩ কাপ চিনি।

সামান্য গোলাপ জল।

আরও পড়ুন: গরম ভাতের সঙ্গে জমিয়ে খান কাতলা মাছের কোর্মা

কী ভাবে বানাবেন রসগোল্লা:

ছানা তৈরির জন্য দুধ জ্বাল দিয়ে অল্প করে লেবুর রস দিয়ে ছানা তৈরি করে নিন।

দুধ থেকে জল বের হয়ে এলে ওভেন থেকে নামিয়ে একটি পরিষ্কার কাপড় নিয়ে চেপে ভাল করে জল ঝরিয়ে নিতে হবে।

এর পর একেবারে মসৃণ হওয়া পর্যন্ত ছানা হাত দিয়ে ভাল করে মাখতে হবে।

প্রেসার কুকারে ৬-৭ কাপ জলে চিনি দিয়ে ওভেনে দিন। চিনির সিরা তৈরি হলে তুলে ফেলে আঁচ কমিয়ে দিন।

আরও পড়ুন: আজ পাতে থাক জিভে জল আনা মোচার পাতুরি

ছানা হাতের তালু দিয়ে গোল গোল করে মেখে নিয়ে ২০-২৫টা ভাগ করে রাখুন।

সব ছানার বল একসঙ্গে চিনির সিরায় দিয়ে প্রেসার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে দিন।

কুকারে একটি সিটি পড়লেই ওভেন বন্ধ করে দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন।

ঠান্ডা হলে চিনির সিরা-সহ রসগোল্লাগুলি একটি বড় পাত্রে ঢালুন। ১ চা চামচ গোলাপ জল দিন।

ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন রসগোল্লা।

.